হাসান সারওয়ার্দীকে নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘ভুয়া উপদেষ্টা’ সাজিয়ে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশর পর দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে যান মিয়ান আরেফী নামের এক ব্যক্তিকে।

পরে সন্ধ্যায় ‘মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর’ মিয়ান আরেফি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তার পাশে বসে ছিলেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।

এ নিয়ে আজ (৩১ অক্টোবর) গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর বিষয়ে জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাকে ছাড়া হচ্ছে না, তাকে ছাড়া হবেও না। ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি… তাকে গ্রেপ্তার করা হবে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ সময় পাশের কেউ একজন প্রধানমন্ত্রীকে জানান তার খোঁজ পাওয়া গেছে। পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁকে খোঁজ করা হচ্ছে, তাঁকে ঠিকই ধরা হবে এবং জিজ্ঞেস করা হবে সে এ রকম ফ্রড করলো কেন। সে যেই হোক আইনের কাছে সবাই সমান। তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরপরই সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তারের খবর জানা যায়।

গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশের পর সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘উপদেষ্টা’ পরিচয়ে মিয়ান আরেফী নামের এক ব্যক্তি নিয়ে আসেন হাসান সারওয়ার্দী। পরে মার্কিন দূতাবাস থেকে জানানো হয়, এই তথ্যটি সঠিক নয়।

এর পরদিন রোববার (২৯ অক্টোবর) পল্টন থানায় মহিউদ্দিন শিকদার নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মিয়ান আরেফিসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার বাকি দুই আসামি হলেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও বিএনপি নেতা মো. ইশরাক হোসেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.