ম্যাচ জিতেও হতাশ রোহিত

দীর্ঘ এক দশক আইসিসির ইভেন্টে শুধুমাত্র হতাশাই বেড়েছে ভারতের। শেষ ২০১১ সালে ২৮ বছরের আক্ষেপ গুচিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। আরও একবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে রোহিতরা। শুধু তাই নয় গ্রুপ পর্বে এখনও পর্যন্ত দুর্দান্ত ছন্দে আছে দলটি। টানা ছয় ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। ফলে সহজেই বলা যায় সেমিতে এক পা দিয়ে রেখেছে তারা।

আসরে এখন পর্যন্ত ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটাররা নজর কেড়েছে। যেখানে ওপেনার রোহিত ৬৬.৩৩ গড়ে ৩৯৮, কোহলি ৫৯ .১৬ গড়ে ৩৫৫ রান তুলেছে। দুজনই একটি করে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছে। এছাড়া এছাড়া শুভমান গিল, লোকেশ রাহুলরাও ব্যাট হাঁতে দারুণ অবদান রাখছে। কিন্ত গতকাল ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে ভারত। যদিও সেটা সামাল দেন রোহিত-রাহুল। তাই স্কোরবোর্ডে মাত্র ২২৯ রান তুলতে পারায় ম্যাচে জিতেও ব্যাটিংকে দুষেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।

রোহিত বলেন, ‘আজ (গতকাল) আমরা ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলাম না। প্রথম পাওয়ার প্লে’তে তিন উইকেট হারানো মোটেও আদর্শ নয়। তবে আপনি যখন এমন খারাপ পরিস্থিতিতে থাকেন তখন আপনার দরকার একটি জুটির যা আমরা করেছি। কিন্ত শেষ দিকে কয়েকজন সেটা আর করতে পারেনি এমনকি আমি নিজেও। কিন্ত সেই মুহূর্তে আমি শুধু ভাবছিলাম নিজেকে ইতিবাচক থাকতে হবে এবং সে সময় কাছে আসা বল গুলোকে দূরে সরিয়ে দিতে চাচ্ছিলাম। এভাবেই আপনি বোলার ও প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেন। কিন্তু হ্যাঁ, যখন আপনি তাকাবেন (ম্যাচের দিকে)। আমরা চিন্তা করছিলাম, আমরা ৩০ রান কম করছিলাম।’

অবশ্য লক্ষ্য খুব বেশি বড় না হলেও ইংলিশ বোলারদের দমিয়ে দিয়েছেন জসপিত বুমরাহ, সামি, যাদবরা। ২৩০ রানের লক্ষ্য তারা করতে নেমে ৫২ রানেই ৫ উইকেট হারায় জশ বাটলাররা। এই ধাক্কা সামাল দিতে না পেরে ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। ফলে ভারতের জয়ের ধাঁরা অব্যাহত থাকে। তবে রোহিত বলেন, ‘সুতরাং আপনি জানেন যে যখন আপনার দারুণ একটি বোলিং লাইন আপ আছে। তখন এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যাটাররা বোর্ডে ভালো রান রাখবে। তাদের (বোলারদের) জন্য কিছু রেখে যাওয়া। যেটা দিয়ে তারা কাজ করে, নিজেদের ম্যাজিক দেখিতে পারে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.