খাজা টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে সাইফ পাওয়ারের ব্যাপক ক্ষতি, নিহত ১

মহাখালির খাজা টাওয়ারে যে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তাতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাইফ পাওয়ার ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনের নয় তলায় এ আগুন লাগে বলে জানা গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন আরও কয়েকটি ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। বেলা সোয়া পাঁচটা নাগাদ ফায়ারসার্ভিস আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

অগ্নিকান্ডে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাইফ পাওয়ায় টেক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খাজা টাওয়ারে সাইফ পাওয়ার ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর একাধিক কার্যালয় রয়েছে। ভবনটির ৩য়, ৪র্থ, ৭ম, ১২তম, ১৩তম ও ১৪তম তলায় এসব কার্যালয় অবস্থিত।

সাইফ পাওয়ারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকল্প সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম মারা যান। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আমিনুজ্জামামসহ আহত হয়েছেন ১৮ জন। আহতরা হলেন- সেফটি অফিসার গোলাম রাব্বানী, এজিএম নাজমুল হাসান, হিসাব বিভাগের নূর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, প্রশাসন বিভাগের সুফী সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী, অফিস এক্সিকিউটিভ নিজাম উদ্দিন, এইচ আর এক্সিকিউটিভ কায়সার আরাফাত এবং নিরাপত্তা প্রহরী চারজন যথাক্রমে- তারিকুল, শাকিল, আনোয়ার এবং মামুন প্রমুখ।

আহত সবাই এখন ঝুঁকিমুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ইতোমধ্যেই পরিচালক আমিনুজ্জামান ছাড়া বাকী সবাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মোঃ হাসান রেজা জানান, ক্ষয়ক্ষতি এখনও নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। পুরে যাওয়া ধ্বংসের স্তুপের কারণে ক্ষয়ক্ষতির হিসাবে কিছুটা সময় লাগছে।

উল্লেখ্য, প্রায় ২৭ বছর ধরে দেশে সুনামের সাথে ব্যবসা করছে সাইফ পাওয়ার। প্রকৌশল খাতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক সুনাম রয়েছে। চট্টগ্রাম ও দুবাইয়ের বন্দরের মালামাল হ্যান্ডেলিং, নদী খনন, ব্যাটারি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পুনঃ নবায়নযোগ্য জ্বালানী, এলইডি লাটিং সল্যুশন, ফার্মাসিউটিক্যালসের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনসহ নানাবিধ মৌলিক ব্যবসা রয়েছে তাদের।

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.