কেউ ক্রিকেটারদের পাশে না থাকলেও আমরা আছি: পাপন

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচের ৫টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। যদিও বিশ্বকাপের শুরুটাও হয়ে জয় দিয়ে, কিন্তু এরপরই যেন সব হিসেব নিকেশ পাল্টে গেল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ছাড়া সাকিববাহিনীর প্রাপ্তির খাতা শূন্য।

বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব পার করে আসা নেদ্যারল্যান্ডসের বিপক্ষে পরাজয় বাংলাদেশকে দেখাল আরও বড় বাস্তবতা। এই হারের পর ‘স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ’ স্বীকার করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এমন অবস্থায় চারদিক থেকে সমালোচিত হচ্ছেন ক্রিকেটাররা। তবে চারদিকে যখন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনা চলছে, তখনই তাদের আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন।

পাপন বলেন, ‘দল একটানা হারছে। এমন সময়ে কেউ ক্রিকেটারদের পাশে থাকবে না। তবে কেউ না থাকলেও আমরা তাদের পাশে আছি।’

২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ক্রিকেট বিশ্বে নিজেদের জাত চেনাতে সক্ষম হলেও ২০১১ সালে ঘরের মাঠে সুপার সিক্স খেলা হয়নি বাংলাদেশের। সেই আসরে ইংল্যান্ডের মত দলকে হারানোর স্বাদ পেলেও ৫৮ ও ৭৮ রানে অলআউট হওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতাও ছিল বাংলাদেশের। পরের আসরে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ খেলে কোয়ার্টারফাইনাল। যা এখন পর্যন্ত দলটির সর্বোচ্চ সাফল্য।

২০১৯ সালে ৯ ম্যাচের ৩টি জিতলেও ৭ নম্বরে থেকে আসর শেষ করে বাংলাদেশ। এ বছর সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল নিয়ে বড় কিছুরই আশা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু টানা ৫ হারে আত্মবিশ্বাস এখন তলানিতে, সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ।

এদিকে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘কাওকে দোষ দেয়াটা ঠিক হবে না, আমরা যে ১৫জনই আসছি এর থেকে ভালো আমাদের দল। আমরা যা পারি তার কিছুই করতে পারিনি।’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এটাই সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স কিনা এই প্রশ্নের জবাবে সাকিব একমত হয়ে বলেন, ‘এটা আপনি নির্ধিধায় বলতে পারেন, আমি দ্বিমত পোষণ করব না। এটা বাংলাদেশের স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ’

২৪ বছরে সামিফাইনাল খেলতে না পারার প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘বলা মুশকিল। ভুল মানুষকে জিজ্ঞেস করছেন। এখন এগুলা বলার সময় না। ২৪ বছরে সেমিফাইনাল খেলতে পারিনি, এটা হতাশাজনক। আমাদের এর থেকে অনেক ভালো করা উচিত ছিল।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.