ইসরাইলকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ ঘোষণা করা হবে: এরদোয়ান

ইসরাইলকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। তিনি বলেন, আমরা গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দেব ইসরাইল যুদ্ধাপরাধী। আমরা সেজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ইসরাইলকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করব।

শনিবার ফিলিস্তিন-পন্থি সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ফিলিস্তিনিদের প্রতি তুর্কি জাতির সমর্থন প্রদর্শনের জন্য এরদোয়ানের আহ্বানে ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। খবর- পার্সটুডে

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, গত ২২ দিন ধরে ইসরাইল প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধ করে যাচ্ছে অথচ পশ্চিমা নেতারা তেল আবিবকে যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়ার পর্যন্ত আহ্বান জানাচ্ছে না।

‘গ্রেট প্যালেস্টাইন মিটিং’ শীর্ষক সমাবেশে দেয়া ভাষণে এরদোয়ান তুরস্কের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়, বরং স্বাধীনতাকামী। আর ইসরাইল অবৈধ দখলদার। আমি আবারও বলছি, হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। ইসরাইল একটি দখলদার সরকার। গাজায় গণহত্যার মূলহোতা পাশ্চাত্য। পশ্চিমারা ইসরাইলের কাছে ঋণী, কিন্তু তুরস্ক ঋণী নয়।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ‘অপারেশন আল-আকসা তুফান’ পরিচালনা করলে চলমান সংঘাত শুরু হয়। স্থল, সমুদ্র এবং আকাশপথে চালানো অভিযানে বেশ কয়েকশ’ সেনাসহ ১ হাজার ৪০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।

হামাস বলেছে, আল-আকসা মসজিদে হামলা এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিশোধ হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়েছে। ওই দিন থেকেই ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় অবিরাম বোমাবর্ষণ শুরু করে। এর মধ্যেই অবরুদ্ধ গাজায় মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৮ হাজার ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, নিহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.