ভয়াবহ যুদ্ধের মধ্যেও ইসরাইলকে মোকাবেলা করছে হামাস

ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলার মধ্যেই ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস দখলদার সেনাদের পূর্ণ শক্তি দিয়ে মোকাবেলা করছে। ইসরাইলি সেনারা এরইমধ্যে গাজা উপত্যকায় স্থল আক্রমণ বাড়িয়েছে এবং সেখানকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।

হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা শনিবার গাজা উপত্যকার ভেতরে দুটি এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর সাথে লড়াই হয়েছে। আমরা উত্তর গাজার বেইত হানুন এবং পূর্ব বুরেজে ইসরাইলি বাহিনীর স্থল অনুপ্রবেশের মোকাবেলা করছি এবং স্থলভাগে সংঘর্ষ চলছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তাদের যুদ্ধবিমান উত্তর গাজায় ১৫০টি “ভূগর্ভস্থ লক্ষ্যবস্তুতে” আঘাত করেছে এবং রাতভর তীব্র অভিযানের সময় “বেশ কিছু” হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। লক্ষ্যবস্তু হিসেবে “টানেল, ভূগর্ভস্থ যুদ্ধ স্থান এবং অন্যান্য ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো” অন্তর্ভুক্ত। তবে সংঘর্ষে তাদের কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বলেনি।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল বলেছেন, রাতভর ইসরাইলের বিমান হামলায় শতাধিক ভবন ধ্বংস হয়েছে। তিনি ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, শতশত ভবন ও ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভয়াবহ বোমাবর্ষণে উত্তর গাজার “চিত্র বদলে গেছে”।

এদিকে, আজ এক বিবৃতিতে হামাস জোর দিয়ে বলেছে, গাজায় তারা “পূর্ণ শক্তি” দিয়ে ইসরাইলি হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে একটি “পরাজিত বাহিনী” হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে, ইসরাইলের অপরাধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে কোনো বিজয় অর্জন করতে পারবে না। আল-কাসাম ব্রিগেড এবং সমস্ত ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী পূর্ণ শক্তির সাথে ইসরাইলি আগ্রাসনের মোকাবেলা করতে এবং তাদের অনুপ্রবেশকে হতাশ করতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.