বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কিছুটা ছন্দে ফিরল বাংলাদেশ। ইউরোপের এই দেশটিকে ২২৯ রানের মধ্যে আটকে ফেলেছে বাংলাদেশের বোলাররা। শুরু থেকে বাংলাদেশের বোলাররা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাখলেও পাঁচ উইকেট নেয়ার পর নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয় নেদারল্যান্ডস। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডের হাফ সেঞ্চুরি এবং ওয়েসলি ব্যারেসি ও সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেচের দুটি দায়িত্ব ইনিংসে লড়াই করার মতো সংগ্রহ দাঁড় করায় নেদারল্যান্ডস।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ৩৩ বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামা বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্যের দেখা পায়। নিজের প্রথম ওভারেই বিক্রমজিত সিংকে ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। এই পেসারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে সাকিব আল হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিন রান করা বিক্রমজিত।
নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় ওভারে উইকেটের দেখা পান শরিফুল ইসলাম। সেই ওভারের দ্বিতীয় বলেই ম্যাক্স ও ডাউড’কে ফেরান এই পেসার। শরিফুলের অফ স্টাম্পের বাইরে লাফিয়ে ওঠা বল ও’ডাউডের ব্যাটে লেগে প্রথম স্লিপে তানজিদ হাসান তামিমের মুঠোয় চলে যায়। শূন্য রানে ফিরেন ডাচ এই ওপেনার। চার রানে দুই উইকেট পড়ার পর চাপে পড়ে ডাচরা। তারপর অবশ্য ওয়েসলি ব্যারেসি এবং কলিন অ্যাকারম্যানের ৫৯ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে তারা। অবশ্য বিপজ্জনক হওয়ার আগেই ব্যারেসিকে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
এই পেসারের বলে লং অফে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন ব্যারেসি। যদিও মিস টাইমিং হওয়ায় উইকেটের উপরেই ক্যাচ উঠে যায়। যা লুফে নেন সাকিব। ফলে ৪১ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে তার। পরের ওভারে সাকিব নিজেই ফেরান অ্যাকারম্যানকে। ১৫ রান করা অ্যাকারম্যান চেয়েছিলেন সাকিবকে সুইপ করতে। যদিও ফাইন লেগে ক্যাচ উঠে যায়, তা লুফে নেন মুস্তাফিজ। ফিরতে হয় অ্যাকারম্যানকে।
৬৩ রানে ৪ উইকেট হারানো ডাচদের পথ দেখাচ্ছিলেন বাস ডি লিড ও এডওয়ার্ডস। এই দুজনে পঞ্চম উইকেটে যোগ করেছেন ৪৪ রান। তাদের জুটি ভেঙেছেন তাসকিন আহমেদ। এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে অফ সাইডে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ডি লিড। যদিও শুরুতে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। সাকিব রিভিউ নিলে দেখা যায় বল স্পষ্ট এজ হয়েছে। ফলে সাজঘরে ফিরে যেতে হয়েছে ৩২ বলে ১৭ রান করা ডি লিডকে।
১০৭ রানে পাঁচ উইকেট হারানো ডাচদের ইনিংস এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব দেন অধিনায়ক এডওয়ার্ডস। তার সঙ্গে যুক্ত হন এঙ্গেলব্রেচ। এই জুটিতে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এডওয়ার্ডস। সাকিব, শরিফুল, তাসকিনদের বলে সিঙ্গেলস-ডাবলসের পশরা সাজিয়ে বসেন এই দুজন, জুটি গড়েন ৭৮ রানের।
এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার ওয়াইড ইয়র্কার বুঝতেই পারেননি এডওয়ার্ডস। বল তুলে দিলে সেটা ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের তালুবন্দি হয়। ফেরার আগে ৮৯ বলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন ডাচ অধিনায়ক।
এর তিন বল পর নতুন ওভারে ফিরে যান এঙ্গেলব্রেচও। ৬১ বলে ৩৫ রান করা এঙ্গেলব্রেচকে লেগ বিফোর উইকেটে ফাঁদে ফেলে ফিরিয়েছেন শেখ মেহেদী। শেষদিকে লোগান ভ্যান উইক ১৬ বলে অপরাজিত ২৩ রানের ক্যামিও খেললে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় ডাচরা।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.