সাইফ পাওয়ারে আগুনের আঁচ, কর্মীরা নিরাপদ

মহাখালির খাজা টাওয়ারে যে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তাতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেকের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় কোম্পানির কেউ হতাহত হয়নি। সবাই নিরাপদে ভবন ছাড়তে পেরেছেন।

সাইফ পাওয়ার সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, খাজা টাওয়ারে সাইফ পাওয়ার ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর একাধিক কার্যালয় রয়েছে। ভবনটির ৩য়. ৪র্থ, ৭ম, ১২তম, ১৩তম ও ১৪ তম তলায় এসব কার্যালয় অবস্থিত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনের নয় তলায় এ আগুন লাগে বলে জানা গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন আরও কয়েকটি ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। বেলা সোয়া পাঁচটা নাগাদ ফায়ারসার্ভিস আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

আগুনে ভবনটিতে বেশ কিছু মানুষ আটকা পড়েন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পর্যায়ক্রমে তাদেরকে উদ্ধার করেন। তবে এর মধ্যেই হাসনা হেনা (২৭) নামে এক নারী ভবন থেকে গ্রিল বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে মারা যান।

আগুনের খবর পেয়ে বেশির অফিসের কর্মীরা নিরাপদে ভবন থেকে বের হয়ে যেতে সক্ষম হলেও অর্ধশতাধিক মানুষ আটকে যান। এদের মধ্যে সাইফ পাওয়ারটেকের কয়েকজন কর্মীও ছিলেন। রাত ৮টার দিকে ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা তাদেরকে নিরাপদে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

ভবনটিতে আগুন লাগার পর সাইফ পাওয়ারটেকের কার্যালয় থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। তবে সে আগুনে তাদের কার্যালয়ের কতটুকু ক্ষক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি।

যোগাযোগ করলে সাইফ পাওয়ারটেকের কোম্পানি সচিব এফ. এমডি সালেহীন অর্থসূচককে বলেন, আগুনে আমাদের কয়েকজন সহকর্মী অফিসে আটকা পড়েছিলেন। রাত ৮টা দিকে  ফায়ার সার্ভিস তাদেরকে নিরাপদে ভবন থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। আগুনে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে। কারণ অফিস থেকে অনেক ধোয়া বের হতে দেখেছি। কিন্তু কতটুকু ক্ষতি হয়েছে তা এখন বলা সম্ভব নয়। কারণ ফায়ারসার্ভিসের লোকজন এখন ভবনে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হলে বিষয়টি জানা যাবে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.