প্রতিদিন ৮ কেজি গোশত খায়, হারের পর বাবরদের ওয়াসিম

নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কা বাদে কারও সঙ্গে ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি পাকিস্তান। শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও হাসান আলীদের নিয়ে গড়া বোলিং বিভাগের বোলিংটাও হচ্ছে না ঠিকঠাক। ব্যাটি-বোলিং ছাপিয়ে আলোচনায় পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বাজে ফিল্ডিং। পুরো টুর্নামেন্টেই বাজে ফিল্ডিং করেছে বাবরের দল। যার খেসারতও দিতে হয়েছে তাদেরকে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নারকে শুরুতে জীবন দিয়েছিলেন উসামা মীর। জীবন পেয়ে দেড়শ পেরোনো ইনিংস খেলে উড়িয়ে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। এ ছাড়া গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়েও বারংবার ভুল করেছে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারা ম্যাচেও ভিন্নতা ছিল না ফিল্ডিংয়েও। রহমানুল্লাহ গুরবাজের তুলে দেয়া বল ঠেকাতে পারেননি শাহীন আফ্রিদি।

অন্যান্যদের মতো বাবর নিজেও বেশ কয়েকটি ম্যাচে বাজে ফিল্ডিং করেছেন। বছরখানেক পাকিস্তানের ব্যাটারদের ফিটনেস নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন মিসবাহ উল হক। কদিন আগে বাবর আজমদের ফিটনেসের সমালোচনা করে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ওয়াসিম আকরাম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর ক্রিকেটারদের ফিটনেস কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে খোঁচা দিয়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।

পাকিস্তানি টিভি ‘এ স্পোর্টস’ এর অনুষ্ঠানে ওয়াসিম আকরাম ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘খেলোয়াড়দের ফিল্ডিং ও ফিটনেস দেখুন। আমরা ৩ সপ্তাহ ধরে এই কথাই বলছি যে, এই খেলোয়াড়েরা গত দুই বছরের মধ্যে কোনও ফিটনেস টেস্টে মধ্য দিয়ে যায়নি। এখন আমি যদি নাম ধরে বলি তাহলে আবার তারা তো অখুশি হবে। দেখে তো মনে হয়, তারা প্রতিদিন ৮ কেজি করে খাসির গোশত ও নেহারি খায়।’

মিসবাহ পাকিস্তানের কোচ থাকার সময় ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে বেশ কড়াকড়ি করেছিল। মিসবাহ দায়িত্ব ছাড়ার পর গুরুত্ব কমেছে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের। জানা গেছে গত দুই বছরে ক্রিকেটারদের তেমন কোন ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হয়নি। অথচ প্রতিটি দেশই সিরিজ শুরুর আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা নিয়ে থাকে। তিনি বছরখানেক পাকিস্তানের ব্যাটারদের ফিটনেস নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন মিসবাহ উল হক। তিনি আরও বলেন, ‘পেশাদার দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের হয়ে খেলার জন্য তোমরা অর্থ পাচ্ছ। তাই নির্দিষ্ট কিছু (ফিটনেস নিয়ে) মানদণ্ড থাকতেই হবে। মিসবাহ যখন কোচ ছিল, তখন এটা ছিল। খেলোয়াড়েরা তাকে পছন্দ করত না, কিন্তু কাজটা হয়েছে। ফিল্ডিং তো ফিটনেসের ওপর নির্ভর করে। আর আমরা এখানেই পিছিয়ে আছি। এখন আমরা সেই আগের জায়গাতেই ফিরে গেছি, যেখান থেকে যদি, কিন্তুর প্রার্থনা করতে হবে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.