আমেরিকার সমর্থনের কারণে গাজায় গণহত্যা চলছে: ইরানের প্রেসিডেন্ট

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের পাশবিক গণহত্যার প্রতি আমেরিকাসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশের লাগামহীন সমর্থনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি।

সোমবার ইরান সফররত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ নিন্দা জানান।ককেশাস অঞ্চলের উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আর্মেনিয়া, জর্জিয়া ও আজারবাইজানের পাশাপাশি রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানকে নিয়ে গঠিত ৩+৩ গ্রুপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে ল্যাভরভ তেহরান সফরে এসেছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় বর্তমানে নিরস্ত্র ও নিরপরাধ নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের ভয়ঙ্কর অপরাধযজ্ঞ চলছে। আমেরিকা ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের অসংলগ্ন সমর্থনের কারণে এই অপরাধযজ্ঞ সংঘটিত হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সাম্প্রতিক তেল আবিব সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এক বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন রায়িসি যেখানে বাইডেন বলেছিলেন, যদি ইসরাইল না থাকত তাহলে আমরা একটি ইসরাইল তৈরি করে নিতাম। বাইডেনের এ বক্তব্য প্রমাণ করে, মার্কিনিরা তাদের স্বার্থ উদ্ধারে জন্য নারী ও শিশুদের রক্ত ঝরাতে এবং তাদের ঘরবাড়ি ধুলায় মিশিয়ে দিতেও দ্বিধা করে না।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, মার্কিন সরকার গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলি বর্বরতাকে তেল আবিবের ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ বলে চালিয়ে দিচ্ছে।কিন্তু কথিত এই অধিকারের পক্ষে আমরিকা যেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কোনো প্রস্তাব পাস করিয়ে নিতে না পারে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে তিনি রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।

সাক্ষাতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানের সঙ্গে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, পরিবহণ, জ্বালানী ও সাংস্কৃতিক খাতে স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করতে মস্কোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনে তেহরানে ৩+৩ গ্রুপের বৈঠক প্রমাণ করে, ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা শক্তিশালী হচ্ছে। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.