পুলিশের মতোই অপরাধীকে আটক, মালামাল জব্দ ও দেহ তল্লাশির ক্ষমতা পাচ্ছেন আনসার সদস্যরা। নতুন এই বিলে আনসারে বিদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি রাখা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) এমন বিধান রেখে ‘আনসার ব্যাটালিয়ন বিল ২০২৩’ সংসদে উঠেছে।
বিলটি উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনদিনের মধ্যে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিলটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিলটির ওপর আপত্তি জানিয়ে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, দুই দলের সমান ক্ষমতা থাকলে তাদের মুখোমুখি অবস্থান হয়ে যেতে পারে। তাই তিনি বিল প্রত্যাহারের দাবি জানান।
আপত্তির জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন। সেই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজন হবে। তাই প্রয়োজন সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি আনসার বাহিনীর মোতায়েন করা হবে। এই কথার যুক্তিস্বরূপ কণ্ঠভোটে ফখরুল ইমামের দাবি নাকচ হয়ে যায়।
একাদশ সংসদের সর্বশেষ চলমান অধিবেশন আগামী ২ নভেম্বর শেষ হয়ে যাচ্ছে। চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়।
এর আগে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বিলটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রস্তাবিত বিলের ৮ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্যের সামনে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে অপরাধীকে আটক করে অবিলম্বে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি, কোনো স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি এবং মালামাল জব্দ করতে পারবে।’
বিলের ২১ ধারায় বিদ্রোহ সংগঠন বা বিদ্রোহ সংগঠনের প্ররোচনায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বিলে অপরাধ বিচারের জন্য সংক্ষিপ্ত আনসার আদালত এবং বিশেষ আনসার আদালত নামে দুটি আদালত গঠনের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সরকারি বা ব্যাটালিয়ন সদস্যের সম্পত্তি চুরি করা, যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে প্যারেডে অনুপস্থিত থাকা, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রদর্শন অপরাধ হিসেবে গণ্য করে চাকরি থেকে বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অপসারণের শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
অর্থসূচক/ এইচএআই



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.