২২৯ রানে হারল ইংল্যান্ড

সাউথ আফ্রিকার ঝড়ের জবাব দিতে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালাতে হতো ইংল্যান্ড। লুঙ্গি এনগিদি, জেনসেনরা অবশ্য ইংলিশ ব্যাটারদের সেই সুযোগটা দেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ইংল্যান্ডকে ২২৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ পর জয়ে ফিরল সাউথ আফ্রিকা।

পাহাড়সম ৩৯৯ রান তাড়ায় প্রথম চার বল ডট দিয়ে শুরু করলেও এনগিদির পঞ্চম বলে ফ্লিক করে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারেন জনি বেয়ারস্টো। এনগিদির পরের ওভারেও দারুণ এক চার মেরেছিলেন তিনি। তবে বেয়ারস্টোকে জ্বলে উঠতে দেননি এনগিদি। ডানহাতি এই পেসারের খানিকটা লাফিয়ে উঠা বলে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে সীমানার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা রাসি ভ্যান ডার ডাসেনের হাতে ধরা পড়েন।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি জো রুট। জেনসেনের বলে লেগ স্লিপে থাকা মিলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ২ রান করা এই ব্যাটার। সুবিধা করতে পারেননি দাভিদ মালানও। জেনসেনের লেগ সাইডের বলে খেলতে গিয়ে কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে ধরা পড়েন। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে ৬ রান করা মালানকে ফিরিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার।

এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে জেনসেনের বলে পুল করে চার মেরে নিজের উপস্থিতির জানানই যেন দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন বেন স্টোকস। তবে তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি কাগিসো রাবাদা। ডানহাতি এই পেসারের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৫ রান করা এই ব্যাটার। জস বাটলার, হ্যারি ব্রুক, ডেভিড উইলি কেউই দাঁড়াতে পারেননি। শেষ দিকে মার্ক উডের অপরাজিত ৪৩ এবং গাস অ্যাটকিনসনের ৩৫ রান কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে।

রিস টপলির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে ইনিংসের শুরুটা করলেন কুইন্টন ডি কক। তবে সাউথ আফ্রিকার উইকেটকিপার ব্যাটারের রান থেমে থাকল সেখানেই। টপলির পরের ষষ্ঠ স্টাম্পের বলে এজ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডি কক। বাঁহাতি এই ওপেনারকে হারানোর পর সাউথ আফ্রিকার হাল ধরেন হেনড্রিকস ও ভ্যান ডার ডাসেন।

তারা দুজনে মিলে যোগ করেছেন ১২১ রান। ৪৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া ভ্যান ডার ডাসেনের বিদায়ে ভাঙে তাদের এই জুটি। আদিল রশিদের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে মিড উইকেটে বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৬০ রানের ইনিংস খেলা ভ্যান ডার ডাসেন। সেঞ্চুরির খুব কাছে গেলেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার ছোঁয়া হয়নি হেনড্রিকসের।

ডানহাতি এই ওপেনারকেও বিদায় করেছেন রশিদ। অভিজ্ঞ এই লেগ স্পিনারের গুগলিতে পরাস্ত হয়ে ফিরে গেছেন ৮৫ রানের ইনিংস খেলে। চারে নেমে ভালো করেছেন মার্করামও। তবে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি এদিন সাউথ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দেয়া এই ব্যাটারের। টপলির বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৪২ রান করা মার্করাম।

বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ডেভিড মিলারও। বাঁহাতি এই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন টপলি। এরপর দারুণ এক জুটি গড়েন ক্লাসেন ও জেনসেন। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ১৫১ রান। ৪০ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া ক্লাসেন সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৬১ বলে। শেষ পর্যন্ত তিনি আউট হয়েছেন শেষ ওভারে, ১০৯ রানের ইনিংস খেলে। এদিকে ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা জেনসেন ফিরেছেন ৭৫ রান করে। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন টপলি।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.