ফিরলেন তানজিদ-শান্ত, লিটনের হাফ সেঞ্চুরি

বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে খেলছেন না সাকিব আল হাসান এবং তাসকিন আহমেদ। এদিকে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা বেশ রয়েসয়ে করেন দুই ওপেনার লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান তামিম। ভারতের দুই পেসার জসপ্রীত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ সিরাজের দারুণ সব বল লিভ করছিলেন দুজনই।

তুলনামূলক ধীরগতিতে ছিলেন লিটন। ১৪তম বলে প্রথম রানের দেখা পান লিটন। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে বুমরাহর ইয়র্কার ফ্লিক করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে যান তানজিদ। যদিও বুমরাহর মনে হয়েছে বলটি তানজিদের প্যাডে লেগেছে, আর তাই আবেদনও করেননি তিনি। একদম অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ‘জীবন’ পেয়ে যান তরুণ ওপেনার তানজিদ। তবে ষষ্ঠ ওভার থেকেই ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দেন লিটন। সিরাজের একই ওভারে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান এই ওপেনার। প্রথম পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ করে মাত্র ১০ রান। পরের ওভারের শেষ বলে বুমরাহকে ছক্কা হাঁকান তানজিদ। অষ্টম ওভারে সিরাজের ওভারে দুটি চার হাঁকান সিরাজ। নবম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া বোলিং করতে আসলে তার ওভারে আবারও দুটি চার মারেন লিটন।

ইনিংসের দশম ওভারে ডাউন দ্যা উইকেটে ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশের রান পঞ্চাশ পার করেন তানজিদ। শার্দুল ঠাকুরের সেই ওভারে আরও এক্সট্রা কভার বাউন্ডারিতে একটি ছক্কা এবং মিড অনে একটি চার মারেন তামিম। ৪১ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তানজিদ। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই ওপেনার। কুলদীপের গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি। ৪৩ বলে ৫১ রান এসেছে তানজিদের ব্যাট থেকে।

তানজিদ ফেরার পর দ্বিতীয় উইকেটে লিটনের সঙ্গে জুটি বাঁধতে এসেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তাকে থিতু হতে দেননি রবীন্দ্র জাদেজা। ভারতীয় এই স্পিনারের করা ব্যাক অব দ্য লেন্থ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে লিটনকে সঙ্গ দিতে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই ব্যাটারকে নিয়ে ৬২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.