ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ ফ্রন্টগুলোর হাতে ২০০ থেকে ২৫০ জন ইসরাইলি বন্দি রয়েছে। এর মধ্যে শুধু আল-কাসসামের হাতে ২০০ বন্দি রয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা।
গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বড় ধরনের অভিযান চালায় গাজা-ভিত্তিক প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। হামলায় সেনা ও বহু ইসরাইলিকে বন্দি করে গাজা উপত্যকায় নিয়ে আসা হয়। পরে তেল আবিব তাদের নিহত ব্যক্তিদের সর্বশেষ সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ বলে জানায়।
হামাসের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আল-কাসসামের মুখপাত্র বলেন, তাদের কাছে ইসরাইলি সেনা ও বেসামরিক নাগরিকদের পাশাপাশি কিছু বিদেশি নাগরিকও রয়েছে। এসব বন্দির সবাইকে ‘আমাদের অতিথি’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্দিদের নিরাপত্তা রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
গাজা উপত্যকায় যখন ইসরাইলি সেনাদের অনবরত বিমান হামলা চলছে এবং স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন সোমবার রাতে প্রকাশিত বিবৃতিতে আবু ওবায়দা বলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তারা বিদেশি নাগরিকদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
হামাসের এই মুখপাত্র বলেন, তাদের হাতে আটক ইসরাইলি বন্দি ইস্যু নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী বিশ্ব সমাজের প্রতি তাদের বার্তা হচ্ছে, তারা ফিলিস্তিনের ঘরে ঘরে শান্তি ও সুখ বয়ে আনতে চান। এর আগে হামাস নেতারা বলেছিলেন, তাদের হাতে আটক ইসরাইলিদের বিনিময়ে তাদের কারাগারে অন্যায়ভাবে আটক ৬,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দির সবাইকে মুক্ত করে আনবেন।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাদের পাশবিক বিমান হামলায় একজন ইসরাইলি বন্দি নিহত হয়েছে বলে জানান আবু ওবায়দা। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির নাম গাই ওলিভস। ইসরাইলি সরকার গাজায় স্থল অভিযান চালানোর যে হুমকি দিয়েছে তাকে হামাস ভয় পায় না। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এমএস/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.