সংঘাতের প্রথম দিন থেকেই ইসরায়েলের পাশে আছে আমেরিকার বাইডেন প্রশাসন। বুধবার সংঘাত শুরু হওয়ার পর প্রথম ইসরায়েলের মাটিতে পা রাখবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। তার আগে মঙ্গলবার ইসরায়েল পৌঁছাবেন জার্মান নেতা ওলফ শলৎস।
নেতানিয়াহুর সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে জো বাইডেনের আলোচনা হওয়ার কথা। তারমধ্যে অন্যতম গাজা স্ট্রিপে বেসামরিক মানুষদের জন্য সাহায্য পৌঁছে দেওয়া। এখনো পর্যন্ত গাজা স্ট্রিপ অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল।
বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় কিছুই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের হাতে আটক আছেন ১৯৯ জন ইসরায়েলি বন্দি।
হামাস অবশ্য ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তাদের হাতে ২০০ থেকে ২৫০ জন ইসরাইলি বন্দি রয়েছে।
হামাসের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আল-কাসসামের মুখপাত্র বলেন, তাদের কাছে ইসরাইলি সেনা ও বেসামরিক নাগরিকদের পাশাপাশি কিছু বিদেশি নাগরিকও রয়েছে। এসব বন্দির সবাইকে ‘আমাদের অতিথি’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্দিদের নিরাপত্তা রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েল পৌঁছানোর আগে মঙ্গলবার জর্ডনের রাজা এবং ফিলিস্তিনের প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করবেন বাইডেন। বুধবার তার ইসরায়েল পৌঁছানোর কথা। মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা মার্কিন প্রেসিডেন্টের। বস্তুত, মিশরের সীমান্ত দিয়ে গাজায় সাহায্য পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বাইডেনের সঙ্গে আবদেল ফাতাহের আলোচনা হওয়ার কথা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন অবশ্য এরইমধ্যে এ বিষয়ে কথা অনেকটা এগিয়ে ফেলেছেন। ইসরায়েল থেকে গত চারদিন তিনি জর্ডন, মিশর, আরব দেশগুলি এবং ফিলিস্তিনের প্রশাসনের সঙ্গে গিয়ে বৈঠক করেছেন। সোমবার তিনি আবার ইসরায়েলে ফিরেছেন। ইসরায়েলের মন্ত্রীদের সঙ্গে সোমবার তিনি আবার বৈঠকে বসেন। বৈঠক চলাকালীন পাঁচ মিনিট তাদের বাংকারেও বসতে হয়। কারণ সাইরেন বেজে উঠেছিল। নেতানিয়াহুর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন ব্লিংকেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, গাজায় সাহায্য পাঠাতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। তবে কেবলমাত্র বেসামরিক ব্যক্তিদের কাছেই ত্রাণ পাঠানো যাবে।
অন্যদিকে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, এ লড়াই সম্মানের, এ লড়াই ইহুদিকে বাঁচিয়ে রাখার। দ্রুত এই সংঘাত থামবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন।
দেশটির বিভিন্ন সীমান্তেই লড়াই চালাতে হচ্ছে ইসরায়েলকে। লেবানন সীমান্তে হেজবোল্লাহর বেশ কয়েকটি কাঠামোয় মঙ্গলবার ভোরে আঘাত হানা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনার মুখপাত্র।
এদিকে সোমবার হামাস একটি ভিডিও প্রচার করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হামাসের হাতে বন্দি হয়েছেন এক ইসরায়েলের নারী। ক্যামেরার সামনে তিনি বলছেন, তার হাত জখম হয়েছে। হামাস তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। দ্রুত ওখান থেকে তাকে উদ্ধারের আর্জি জানিয়েছেন ওই বন্দি।
এদিকে মঙ্গলবারই ইসরায়েল পৌঁছাবেন জার্মান চ্যান্সেলর। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা তার। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.