মেট্রপলিট্যান চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী (এমসিসিআই) ও কর অঞ্চল-১৫, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত“কর প্রদান, রিটার্ন দাখিল ও উৎসে কর কর্তনের বিধান পরিপালনঃ আয়কর আইন, ২০২৩ ও অর্থ আইন, ২০২৩ এর মাধ্যমে আনীত পরিবর্তন” বিষয়ক একটি আলোচনা সভা সোমবার (১৬ অক্টোবর) এমসিসিআই’র মতিঝিল অফিসে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এমসিসিআই’র সভাপতি মোঃ সায়ফুল ইসলাম এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহসান হাবিব, কর কমিশনার, কর অঞ্চল-১৫, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুর আলম, অতিরিক্ত কর কমিশিনার, পরিদর্শী রেঞ্জ-০১, কর অঞ্চল-১৫ এবং মোঃ শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম কর কমিশনার, পরিদর্শী রেঞ্জ-০৩, কর অঞ্চল-১৫। এমসিসিআই’র সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিগণ, কর অঞ্চল-১৫’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ, ও সাংবাদিকগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এমসিসিআই’র সভাপতি মোঃ সায়ফুল ইসলাম তাঁর সূচনা বক্তব্যে বলেন যে, গত কয়েক বছর মহামারী ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মাঝে দেশ এমনিতেই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন ছিল। তার মাঝেই এ বছর নতুন আয়কর আইন প্রণয়ন ও কার্যকর করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বেশ কঠিন ছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দফতর তা প্রস্তুত করতে পারায় তাদের সাধুবাদ জানান তিনি।
তিনি জানান, মোট আয়করের আনুমানিক ৪৫% এমসিসিআই’র সদস্যদের কাছ থেকেই আসে। এমসিসিআই সবসময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আছে ও থাকবে, এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
এই আলোচনায় সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের বিজ্ঞ মতামত দেয়ায় আলোচনা খুব ফলপ্রসূ হয়েছে বলে প্রধান অতিথি আহসান হাবিব উল্লেখ করেন। তিনি জানান, অর্থ আইন, ২০২৩-এর ওপর আরও কাজ করার অবকাশ রয়েছে। সুনির্দিষ্ট কোন প্রস্তাব পেলে তা জাতীয় রাজম্ব বোর্ডকে অবহিত করারও সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড’র কাছ থেকে পুরো নভেম্বর মাসব্যাপী অংশীজনদের সেবা গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং, সেই সেবা নেয়ার জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানান। তিনি আরও জানান যে, নিয়মিতভাবেই কর অঞ্চল-১৫’র পক্ষ থেকে গণশুনানি ও অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে উক্ত কর অঞ্চলের অধিক্ষেত্রাধীন করদাতাগণ অংশগ্রহণ করে থাকেন।
অর্থসূচক/ এইচএআই



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.