রাফা ক্রসিং বর্ডার খুলে দিতে কয়েক ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও মিশর। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। তবে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে রয়টার্স যে খবর দিয়েছে সে বিষয়ে ফিলিস্তিনিরা কিছুই জানেন না।
মিশরের দুটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৯টা থেকে ৫ ঘণ্টার জন্য গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। গাজা উপত্যকার এই যুদ্ধবিরতি কয়েক ঘন্টা স্থায়ী হবে। ইসরাইল, আমেরিকা এবং মিশরের মধ্যে যে ঐকমত্য হয়েছে তাতে মিশর সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
এদিকে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের গণমাধ্যম কার্যালয় থেকে যুদ্ধবিরতির খবর অস্বীকার করা হয়েছে। খবর- পার্সটুডে
এ ছাড়া ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেশট বিবিসিকে বলেছেন, দক্ষিণ গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতির তথ্য আমি জানি না। আমিও সংবাদ প্রতিবেদন দেখেছি। কিন্তু আমি নিশ্চিত করতে পারছি না।
এর আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিনে নেতানিয়াহুও এই যুদ্ধবিরতির খবর নাকচ করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকা থেকে বিদেশিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর ব্যাপারে কোনো চুক্তি হয়নি।
গতকাল মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, মানবিক ত্রাণ পাঠানোর জন্য রাফা ক্রসিং উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। রাফা উন্মুক্ত হবে। এ বিষয়ে আমরা জাতিসংঘ, মিশর, ইসরাইল এবং অন্যান্য দেশকে যুক্ত রাখছি। আমরা এমন একটি ব্যবস্থা করছি যাতে গাজা উপত্যকার লোকজনের কাছে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো যায়।
ব্লিনকেনের এই বক্তব্যের পর ইসরাইলে মার্কিন দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, যদি রাফা ক্রসিং খুলে দেয়া হয় তাহলে গাজার লোকজন তা ব্যবহারের জন্য খুবই অল্প সময় পাবে।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের হামাসসহ কয়েকটি সংগঠন ইসরাইলের অভ্যন্তরে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালায়। তারা বলেছে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদার ইসরাইলের লাগাতার হত্যাযজ্ঞ ও দমনপীড়ন এবং পবিত্র আল-আকসা মসজিদের অবমাননার অবসান ঘটানোর জন্য তারা এই অভিযান চালিয়েছে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.