গাজাবাসীকে হত্যা করার জন্য সবকিছু দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন: হামাস

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে ইসরাইল যা করছে তা দ্বিচারিতা এবং মিথ্যায় ভরা। গাজাবাসীকে নির্বিচারে হত্যা করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার সবকিছু দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। পশ্চিমাদের চাপ সত্ত্বেও প্রতিরোধ যোদ্ধারা ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম থেকে পিছপা হবে না।

শনিবার রাতে হামাসের আল-আকসা টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। খবর- পার্সটুডে

হানিয়া বলেন, ইসরাইল আমেরিকার সমর্থন নিয়ে অবরুদ্ধ গাজা নগরীর ওপর ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে। প্রতিরোধ সংগ্রাম চলমান রয়েছে বলে ‘মার্কিন-সমর্থিত ইহুদিবাদী প্রকল্প’ ব্যর্থ হতে বাধ্য। গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলি নির্বিচার গণহত্যাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেন হামাস নেতা।

ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরাইলে প্রবেশ করে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে বলে ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো যে প্রচার চালাচ্ছে তা প্রত্যাখ্যান করে ইসমাইল হানিয়া বলেন, ইসরাইলি শত্রুর মতো প্রতিরোধ যোদ্ধারা বেসামরিক নাগরিক, শিশু কিংবা বয়োবৃদ্ধদের ওপর হামলা চালায় না। তিনি মিথ্যা তথ্য প্রচার করার জন্য ইসরাইল ও তার পশ্চিমা দোসরদের সমালোচনা করেন। বিশ্বব্যাপী ইসরাইল-বিরোধী বিক্ষোভের প্রশংসা করেন এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এ ধরনের তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকার উত্তর অংশের ১১ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছে সেদিকে ইঙ্গিত করে হামাস নেতা বলেন, গাজা উপত্যকা কিংবা পশ্চিম তীরের কোনো ফিলিস্তিনি ইসরাইলি নির্দেশ পালন করে মিশরে পালিয়ে যাবে না। গাজার অধিবাসীদের শেকড় গাজা উপত্যকায় প্রোথিত এবং তারা কোনো অবস্থায় তাদের মাতৃভূমি ত্যাগ করবে না।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.