কিছু সময় আল্লাহ বিল্লাহ করেও উইকেট পাবেন না: মুস্তাফিজ

বছর দুয়েক ধরে বদলে গেছে বাংলাদেশের পেস বোলিং প্রেক্ষাপট। বলা হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের রীতিমতো পেস বিপ্লব চলছে, পরিসংখ্যানও সেই কথাই বলছে। ২০২৩ সালে ২২ ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশের পেসাররা নিয়েছেন ৯৩ উইকেট। যেখানে প্রতি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন-মুস্তাফিজদের খরচ হয়েছে ২৫.০১ রান। বাংলাদেশের চেয়ে কম গড়ে উইকেট নিয়েছেন ভারতের পেসাররা।

মোহাম্মদ সিরাজ-জসপ্রিত বুমরাহরা মিলে ২৩ ম্যাচে নিয়েছেন ১১৮ উইকেট। তাদের বোলিং গড় ২২.৪৯। এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের পেস বোলিং বিভাগের নেতৃত্ব দেয়া তাসকিনও আছেন দারুণ ছন্দে। এবছর সবচেয়ে কম ৪.৪৮ ইকনোমি রেটে বোলিং করেছেন ডানহাতি এই পেসার। যেখানে তার পেছনে রয়েছেন বুমরাহ, নাসিম শাহ, শাহীন শাহ আফ্রিদি কিংবা মিচেল স্টার্কদের মতো পেসার।

ফলে বিশ্বকাপে তাদের নিয়ে প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। অথচ সেই তাসকিন এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচে নিয়েছেন ২ উইকেট। আরেক পেসার মুস্তাফিজের শিকারও ২ উইকেট। যদিও শরিফুল ইসলাম তুলনামূলক বেশি উইকেট পেয়েছেন। বাঁহাতি পেসারের ঝুলিতে আছে ৫ উইকেট। তবে তাদের তিনজনের কেউই পাওয়ার প্লেতে উইকেট নিতে পারছেন না। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কেবল মুস্তাফিজ একটি উইকেট নিতে পেরেছিলেন।

এদিন ৮ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তাসকিন। বিশ্বকাপের আগে পেসারদের নিয়ে প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। তবে ভারতে খেলতে গিয়ে প্রত্যাশার ধারে কাছে বোলিং করতে পারছেন না তাসকিন আহমেদরা। খরুচে বোলিংয়ের সঙ্গে শুরুতে উইকেট না পাওয়া ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে।

এ প্রসঙ্গে বাঁহাতি এই পেসার বলেন, ‘ও (তাসকিন) তো খারাপ বোলিং করেনি আজকে। ভালো খারাপ মিলিয়েই…কিছু সময় আপনি ভালো বোলিং করেও উইকেট পাবেন না। কিছু সময় আল্লাহ বিল্লাহ করেও উইকেট পাবেন না।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নতুন বলে বাংলাদেশের শুরুটা করেছিলেন মুস্তাফিজ ও শরিফুল। বাঁহাতি এই দুই পেসার মিলে কিউই ব্যাটারদের বেশ ভালোভাবেই পরীক্ষা নিয়েছেন। মুস্তাফিজরা উইকেট থেকে বাড়তি সুইং পাওয়ায় ডেভন কনওয়ে ও কেন উইলিয়ামসনদের ভুগতে হয়েছে। তবে লক্ষ্য খুব বেশি বড় না হওয়ায় ঝুঁকি নিতে হয়নি তাদের।

ম্যাচ শেষে কিছু রান কম হওয়ার আক্ষেপ করলেন মুস্তাফিজ। তিনি বলেন, ‘আমরা পেসাররা শুরুতে ভালো করেছিলাম। যদি আরও ৩০ রান বেশি হতো, তাহলে মনে হয় আরও বেশি সুযোগ থাকত। ওরা আরও বেশি ঝুঁকি নিয়ে খেলত।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে পরের দুই ম্যাচে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই ই করতে পারেনি সাকিবরা। তাতে করে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন ক্রমশই ফিকে হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এখনও বাকি আছে ছয় ম্যাচ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও সাউথ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দল।

যদিও মুস্তাফিজ বলেন, ‘অসম্ভব কোনো কিছু না। আমরা তো ছয় ম্যাচের ছয়টাই জিততে পারি। পেশাদার হিসেবে চিন্তা করলে আফসোসের কিছু নেই (দুই ম্যাচ হার) । হাতে ম্যাচ আছে ছয়টা। ছয় ম্যাচের ছয়টিই জিততে পারি।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.