প্রিমিয়াম ইকোনমি এবং ইকোনমি শ্রেনীতে ভ্রমণকারী দূরপাল্লার যাত্রীদের সৌজন্যমূলক ভাবে নতুন এমিনিটি কিট প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমিরেটস। ইউইনাটেড ফর ওয়াইল্ড লাইফের সহায়তায় ডিজাইনকৃত এই কিটগুলোতে বিশ্বের সবচেয়ে বিপন্ন আটটি প্রানীর ছবি স্থান পেয়েছে।
এমিরেটসের টেকসই পরিবেশ ফ্রেমওয়ার্কের মুলে রয়েছে বন্যপ্রাণী এবং তাদের আবাস সংরক্ষণ। নতুন এই উদোগের অন্যতম লক্ষ হলো বিপন্ন প্রজাতির প্রানীদের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বন্যপ্রাণী এবং এগুলো থেকে তৈরি সকল পন্যের বেআইনি ব্যবসা প্রতিরোধ। সদ্য প্রবর্তিত এই কিটের পাউচে স্থান পেয়েছে সেসকল প্রানীর ছবি যেগুলো সবচেয়ে বেশী চোরাচালানে শিকার, যেমন সামদ্রিক কচ্ছপ আফ্রিকীয় জাতি নীল ম্যাকাও, গরিলা, হ্যামার্ড হাঙ্গর, বনরুই এবং কালো গন্ডার।
ইউনাইটেড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কতৃক প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায় প্রতিদিন গড়ে ১০০ টি হাতি শিকার হচ্ছে যার অর্থ যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে তবে ২০২৫ সাল নাগাদ বন্য হাতির সংখ্যা শুন্যতে নেমে আসবে। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে গন্ডারের সংখ্যা ৫ লক্ষ থাকলেও বর্তমানে এই সংখ্যা ৩০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে চোরাচালানের শিকার হচ্ছে প্যাঙ্গোলিন বা বনরুই নামক স্তন্যপায়ী প্রাণী।
এমিরেটসের নতুন এমিনিটি কিটগুলো পুনরায় ব্যবহারযোগ্য এবং এইগুলো তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে রাফ কাগজ। বন্যপ্রানীর ছবি অঙ্কন করতে সয়া ভিত্তিক বিশেষ ধরণের নন-টক্সিক কালির ব্যবহার করা হয়েছে। কিটের ভেতরে যেসকল সামগ্রী দেয়া হবে সেগুলো এমন পদার্থ থেকে তৈরি যা প্লাস্টিকের ব্যবহার হ্রাসে ভুমিকা রাখবে।
বেআইনি ভাবে বন্য প্রানীর পরিবহণ এবং শিকারের বিরুদ্ধে এমিরেটস সক্রিয় ভুমিকা রেখে যাচ্ছে। সংস্থাটি ইউনাটেড ফর ওয়াইন্ড লাইফ ট্রান্সপোর্ট টাস্কফোর্সের সদস্য।
অর্থসূচক/ এইচএআই
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.