এই সেঞ্চুরি গাজার ভাই-বোনদের জন্য: রিজওয়ান

কুশাল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৩৪৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এই লক্ষ্য পাড়ি দেয়া হয়তো স্বপ্নের মতো ছিল বাবর আজমের দলের সামনে। যদিও আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের শতরানে ভর করে লঙ্কানদের ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে বড় অবদান রেখেছেন রিজওয়ান।

১২১ বলে ১৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। রিজওয়ান ও শফিকের তৃতীয় উইকেটে ১৭৬ রানের জুটিই মূলত পাকিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়েছে। এতে ৩৪৪ রানের বিশাল লক্ষ্য পাড়ি দিয়ে ইতিহাস গড়েছে পাকিস্তান। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এতো রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই আর কারো। এদিকে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি রিজওয়ান।

এদিকে জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) তিনি লিখেছেন, এই সেঞ্চুরি গাজার ভাইবোনদের জন্য। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি। পুরো দলকেই কৃতিত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে আবদুল্লাহ শফিক ও হাসান আলিকে, তারাই খেলাটাকে সহজ করেছে। যেভাবে হায়দরাবাদের মানুষ আমাদের সমর্থন দিয়েছে, তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

গত শনিবার ইসরাইলি সেনাদের দীর্ঘদিনের আগ্রাসনের জবাবে সামরিক অভিযান শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। অল্প সময়ে ইসরাইলের কয়েক হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে। ফিলিস্তিনিদের ওপর দীর্ঘদিনের দমন-পীড়নের জেরে এই হামলা চালাচ্ছে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গাজা ভূখণ্ডের যে অংশটুকু এখন পর্যন্ত টিকে আছে, ইসরায়েলের হাত থেকে এরাই রক্ষা করে আসছে। এই অভিযানে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের সেনাসহ বহু অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে আটক করে গাজায় নিয়ে যায়।

এদিকে পাল্টাপাল্টি হামলায় এখনো পর্যন্ত ২ হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল লক্ষ্য করে এখনো রকেট ছুঁড়ছে হামাস। অন্যদিকে ইসরায়েল গাজাকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। গাজায় বিদ্যুৎ, খাদ্য, জ্বালানি ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে সেখানকার প্রায় ২৩ লাখ বাসিন্দার জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্দশা। প্রাণ হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ।

এর আগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলা হয়েছিল ৫০ বছর আগে ১৯৭৩ সালে। তবে সে হামলা ফিলিস্তিনিরা করেনি বরং মিশর ও সিরিয়া যৌথভাবে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে তাদের হাতছাড়া হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে ওই হামলা চালিয়েছিল। ইহুদিদের ইওম কিপ্পুর ছুটির দিনে ওই হামলা হয়েছিল বলে তাকে ইওম কিপ্পুর যুদ্ধ নামেও অভিহিত করা হয়। ওই যুদ্ধ ১৯৭৩ সালের ৬ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয়েছিল।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.