গত শনিবার থেকে একাধিকবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার আরও একবার আমেরিকা জানিয়েছে যে তারা সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলের পাশে আছে এবং তাদের সবরকমভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত আমেরিকা।
বস্তুত, মঙ্গলবার বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন ভিডিও কলে নেতানিয়াহু-সহ একাধিক ইসরায়েলের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারপরেই ইসরায়েলের তরফে জানানো হয় যে ব্লিংকেন দেশটিতে যাবেন।
এদিকে গাজা স্ট্রিপ কার্যত অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। সেখানে কোনো কিছু ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, কিছু বের হতেও দেওয়া হচ্ছে না। ডাব্লিউএইচও আবেদন জানিয়েছে, গাজা স্ট্রিপে অন্তত ওষুধ পাঠানোর সুযোগ যেন দেওয়া হয়।
এ ছাড়া একাধিক মানবাধিকার সংগঠন আবেদন করেছে, গাজা স্ট্রিপে খাবার এবং ওষুধ পাঠাতে দেওয়া হোক। কিন্তু ইসরায়েল সেই দাবি মানতে রাজি নয়। তাদের দাবি, আগে বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।
ইসরায়েলে আক্রমণের দিন বহু ফিলিস্তিনি সমুদ্রপথে, গাজা এবং ইসরায়েলের মধ্যবর্তী কাঁটাতার কেটে মূল ভূখণ্ডে ঢুকেছিল। মঙ্গলবার ইসরায়েল জানিয়েছে, দক্ষিণের অংশ এখন নিরাপদ। যারা ঢুকেছিল তারা কেউ সমুদ্রপথে এবং কেউ স্থলপদে পালিয়ে গেছে।
তাদের দাবি, প্রায় এক হাজার শস্ত্র ফিলিস্তিনি গত শনিবার ইসরায়েলে ঢুকে আক্রমণ চালায়। এখনো পর্যন্ত এই লড়াইয়ে ইসরায়েলের অন্তত এক হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজা স্ট্রিপে মৃত্যু হয়েছে ৮৩০ জনের। তবে মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে দুই তরফেই।
এদিকে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে সবরকম সামরিক সাহায্য করা হবে। বস্তুত, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আরও অস্ত্র এবং গোলাবারুদ দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রযটার্স, এপি, এএফপি
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.