বড় লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরুর বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের সামনে। ক্রিস ওকসের প্রথম ওভারে তিন চার মেরে সেটার আভাসই যেন দিলেন লিটন দাস। তবে পরের ওভারে উল্টো চিত্র দেখালেন তানজিদ হাসান তামিম। টপলির অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে সেকেন্ড স্লিপে থাকা জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১ রানে। তানজিদ আউট হওয়ার পরের বলে সাজঘরে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
টপলির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে থাকা লিয়াম লিভিংস্টোনের হাতে ক্যাচ দেন রানের খাতা খুলতে না পারা বাঁহাতি এই ব্যাটার। ১৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর সাকিব আল হাসানের সামনে সুযোগ ছিল প্রতিরোধ গড়ার। তবে বাংলাদেশের অধিনায়ককে সেটা করতে দিলেন না সেই টপলিই। বাঁহাতি এই পেসারের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ৯ বলে ১ রান করা সাকিব।
ওকসের বলে চার মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে তাকে ইনিংস বড় করতে দেননি ওকসই। ডানহাতি এই পেসারের সামনের পায়ে ভর করে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে থাকা জস বাটলারকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করা মিরাজ এদিন আউট হয়েছেন ৮ রানে। বাংলাদেশের ব্যাটাররা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন লিটন। এদিন শুরু থেকেই শট খেলায় বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ডানহাতি এই ওপেনার। ফলস্বরূপ পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখাও। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে ৬ ম্যাচের আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ উইকেটে ২৯৬ রান তুলে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। এক সময় মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের সংগ্রহ চারশ না ছাড়ালেও কাছাকাছি যাবে। যদিও এই সম্ভাবনা সত্যি হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। এরপর ৫৬ রানের মধ্যে ইংল্যান্ডের ৫ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। মেহেদী ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার। ৩টি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। একটি উইকেট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদ। আর তাতেই ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান করে ইংল্যান্ড। ফলে জিততে হলে রেকর্ড লক্ষ্য পাড়ি দিতে হবে টাইগারদের।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.