৪০০ হলো না ইংল্যান্ডের

বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ উইকেটে ২৯৬ রান তুলে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। এক সময় মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের সংগ্রহ চারশ না ছাড়ালেও কাছাকাছি যাবে। যদিও এই সম্ভাবনা সত্যি হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা।

এরপর ৫৬ রানের মধ্যে ইংল্যান্ডের ৫ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। আর তাতেই ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান করে ইংল্যান্ড। ফলে জিততে হলে রেকর্ড লক্ষ্য পাড়ি দিতে হবে টাইগারদের। এই ম্যাচের শুরুতে ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের পরীক্ষা নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। তবে আউটের কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি। এর মধ্যে একটি রিভিউও নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমানের করা শর্ট বলে ঘুরিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ডেভিড মালান। বল সোজা চলে গিয়েছিল উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে।

আম্পায়ার আহসান রাজা অবশ্য আউট দেননি। বাংলাদেশ দল অতিআত্মবিশ্বাসী হয়ে রিভিউ নেয়। তবে রিভিউতে দেখা যায় বল লেগেছে তার বাঁ কাঁধে। আল্ট্রা এজে নিশ্চিত হয়েছে সেটাই। ফলে সকাল সকাল রিভিউ হারাতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। পাওয়ার প্লেতে ইংল্যান্ড ৬১ রান তুললেও কোনো উইকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশ।

পাওয়ার প্লের পরই ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মালান। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিতে ৫৪ বল খেলেছেন বেয়ারস্টো। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজের শততম ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন বেয়ারস্টো। এই ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন তিনি। সাকিবের করা একটু দ্রুতগতির লেংথ বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ৫৯ বলে ৫২ রান করা বেয়ারস্টো। আর তাতেই প্রথম উইকেটের স্বাদ পায় টাইগাররা।

বেয়ারস্টো ফিরলেও জো রুটকে নিয়ে ইংল্যান্ডের রানের চাকা সচল রাখেন মালান। তিনি ৯১ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন জো রুট। এই ব্যাটার তার হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৪৪ বলে। সেঞ্চুরির পরও আরও হাতখুলে খেলেছেন মালান। শেখ মেহেদীর করা টসড আপ ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন মালান। এরপর জস বাটলার মাঠে নেমেই আক্রমণামত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। শেখ মেহেদীকে একটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকান। শরিফুল ইসলামের করা অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের শর্ট বলে ইন সাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন ১০ বলে ২০ রান করা বাটলার। শরিফুল এরপর বোলিংয়ে এসে পরপর দুই বলে ফিরিয়েছেন রুট ও লিয়াম লিভিংস্টোনকে।

স্টম্পে থাকা বল তুলে মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ হয়েছেন রুট। শরিফুলের করা নাকাল বল বুঝতেই পারেননি সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা এই ইংলিস ব্যাটার। তার ইনিংস শেষ হয়েছে ৬৮ বলে ৮২ রানে। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ১টি ছক্কা ও ৬টি চারের মার। পরের বলেই লিভিংস্টোনকে বোল্ড করেছেন এই টাইগার পেসার। শরিফুলের সিমে ফেলে ভেতরে ঢোকানো বল ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন লিভিংস্টোন। বলের লাইন মিস করে তিনি হয়ে গেছেন বোল্ড। মারকুটে ব্যাটার হ্যারি ব্রুকও এরপর বেশিদূর এগোতে পারেননি। শেখ মেহেদী অফ স্টাম্পের বাইরের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে লিটন দাসের ক্যাচ হয়েছেন তিনি।

স্যাম কারানও হয়েছেন মেহেদীর শিকার। অফ স্টাম্পের বাইরের বল লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর ডাইভিং ক্যাচে আউট হয়েছেন তিনি। আদিল রশিদও বড় শট খেলতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে শান্তকে ক্যাচ দিয়েছেন। ক্রিস ওকস ফিরেছেন তাসকিনের শিকার হয়ে। এই টাইগার পেসারের করা অফ স্টাম্পে করা ফুল লেন্থের বলে মেহেদীর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ওকস।

মেহেদী ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার। ৩টি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। একটি উইকেট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদ।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.