সব ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি দাবি হামাসের

দখলদার ইসরাইলে আটক সব ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি এবং পশ্চিম তীর ও বায়তুল মুকাদ্দাস বিশেষকরে মসজিদুল আকসায় সব ধরণের উসকানিমূলক তৎপরতা বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মুখপাত্র আব্দুল লাতিফ আল কানু।

তিনি বলেন, ইসরাইলের ভেতরে দখলদার বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের লড়াই হচ্ছে এবং নতুনকরে আরও ইহুদিবাদীকে আটক করে গাজায় আনা হয়েছে।

এদিকে, ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ড্যানিয়েল হাগারি হামাসের সামরিক ও রাজনৈতিক সব নেতাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের নির্বিচার বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। খবর- পার্সটুডের

গত শনিবার ইসরাইলি সেনাদের দীর্ঘদিনের আগ্রাসনের জবাবে বিশাল আকারের সামরিক অভিযান শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। অল্প সময়ে ইসরাইলের কয়েক হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে। ফিলিস্তিনিদের ওপর দীর্ঘদিনের দমন-পীড়নের জেরে এই হামলা চালাচ্ছে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গাজা ভূখণ্ডের যে অংশটুকু এখন পর্যন্ত টিকে আছে, ইসরায়েলের হাত থেকে এরাই রক্ষা করে আসছে।

এদিকে পাল্টাপাল্টি হামলায় এখনো পর্যন্ত ৯০০ জনের বেশি ইসরায়েলি এবং ৬৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল লক্ষ্য করে এখনো রকেট ছুঁড়ছে হামাস। অন্যদিকে ইসরায়েল গাজাকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। এই অভিযানে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের সেনাসহ বহু অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে আটক করে গাজায় নিয়ে যায়।

এর আগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলা হয়েছিল ৫০ বছর আগে ১৯৭৩ সালে। তবে সে হামলা ফিলিস্তিনিরা করেনি বরং মিশর ও সিরিয়া যৌথভাবে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে তাদের হাতছাড়া হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে ওই হামলা চালিয়েছিল। ইহুদিদের ইওম কিপ্পুর ছুটির দিনে ওই হামলা হয়েছিল বলে তাকে ইওম কিপ্পুর যুদ্ধ নামেও অভিহিত করা হয়। ওই যুদ্ধ ১৯৭৩ সালের ৬ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয়েছিল।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.