‘রিজার্ভ বাঁচাতে আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বিকল্প খুঁজতে হবে’

রিজার্ভ বাঁচাতে বাংলাদেশকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়া দরকার। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উৎস থেকে সহায়তা পাওয়াসহ সম্ভাব্য সব বিকল্পের খোঁজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।

সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) আয়োজিত ‘দক্ষিণ এশিয়ায় আর্থিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব বলেন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশের সামনে একটি নির্বাচন আছে এবং এটি স্বাভাবিক নির্বাচন নয়, কারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগামী দিনগুলোতে অনেক অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যেন অন্তত ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে না নামে।

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে আমাদের স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি, বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উৎস থেকে সহায়তা পাওয়াসহ সম্ভাব্য সব বিকল্পের খোঁজ করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২ হাজার ১০৫ কোটি ডলারের রিজার্ভ রয়েছে।

এর আগে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের দায় বিবেচনা করলে দেশের নিট রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলারের কম হবে।

দেশে যে পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ঢুকছে এবং যা বেরিয়ে যাচ্ছে, তার প্রকৃত হিসাব মিলছে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। ব্যালান্স অব পেমেন্টে বা লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি হওয়ায় রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

অর্থসূচক/এমএইচ

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.