ফিলিস্তিনিদের ‘দৃঢ় সংকল্প’ ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের চূড়ান্ত বিজয়ের সুসংবাদ বহন করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি।
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে এক ফোনালাপে এ মন্তব্য করেন।
ইসমাইল হানিয়াকে ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, ইসরাইলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মহিমান্বিত অভিযানে যা ঘটেছে তা হলো ফিলিস্তিনি জাতি ও মুসলিম উম্মাহর ৭০ বছরের পুরনো প্রত্যাশার বাস্তবায়ন। সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন সকল মুসলিম জাতি একসঙ্গে তাদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করবে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনিদের বীরোচিত অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, মুসলিম দেশগুলো ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিজয়কে সম্মান করে।
ফোনালাপে ইসমাইল হানিয়া ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ যুদ্ধে ফিলিস্তিনি জাতির পাশে থাকার জন্য ইরানের সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ইসরায়েলের তুলনায় অতি সামান্য সামরিক সরঞ্জাম ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা আকস্মিক অভিযান চালিয়ে ইসরাইল সরকারের ভারসাম্য নষ্ট করে দিয়েছে। মুসলিম উম্মাহর বিশেষ করে ইরানের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে এই সফল অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এ ছাড়া ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের নেতা জিয়াদ আন-নাখালার সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ইসরাইল ধ্বংসের দিকে এবং ফিলিস্তিনি সংগ্রামীরা বিজয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ইরান সব সময় স্বাধীনতাকামী জাতিগুলো বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে বলে নাখালাকে আশ্বস্ত করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও সহযোগী সংগঠনগুলো ইসরাইলের বিরুদ্ধে এক নজিরবিহীন অভিযান শুরুর পর এ কথা বলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। অভিযানে এ পর্যন্ত অন্তত ৭০০ ইসরাইলি নিহত ও প্রায় আড়াই হাজার আহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও অন্তত ৭৫০ ইসরাইলি। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.