বন্দিদের মুক্তির জন্য মিশরকে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে ইসরাইল

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসসহ কয়েকটি প্রতিরোধ সংগঠন ইসরাইলের ভেতরে অভিযান চালিয়ে যেসব সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে আটক করেছে তাদের মুক্তির জন্য মিশরকে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তেল আবিব।

গত শনিবার ইসরাইলি সেনাদের দীর্ঘদিনের আগ্রাসনের জবাবে বিশাল আকারের সামরিক অভিযান শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। অল্প সময়ের ভেতরে ইসরাইলের অভ্যন্তরে তারা পাঁচ হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে। এই অভিযানে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের সেনাসহ বহু অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে আটক করে গাজায় নিয়ে যায়।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বহু মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন কিন্তু সঠিক সংখ্যা তিনি জানাতে পারেননি। খবর- পার্সটুডের

হামাসের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিশরের কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা মার্কিন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, প্রতিরোধকামী সংগঠনটি কয়েকজন ইসরাইলি বন্দীর সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে। ফলে বন্দির সঠিক সংখ্যা বলা কঠিন ব্যাপার।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ইসরাইল মিশর সরকারকে এসব বন্দির মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য আলোচনায় সাহায্য করতে অনুরোধ জানিয়েছে।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৪ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ফিলিস্তিনের হামলায় নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা ৭ শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। এ ঘটনায় হামাসের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী আকাশ থেকে একাধারে বোমা ফেলছে। এর ফলে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গাজার আবাসিক ভবনে বোমাবর্ষণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

এর আগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলা হয়েছিল ৫০ বছর আগে ১৯৭৩ সালে। তবে সে হামলা ফিলিস্তিনিরা করেনি বরং মিশর ও সিরিয়া যৌথভাবে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে তাদের হাতছাড়া হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে ওই হামলা চালিয়েছিল। ইহুদিদের ইওম কিপ্পুর ছুটির দিনে ওই হামলা হয়েছিল বলে তাকে ইওম কিপ্পুর যুদ্ধ নামেও অভিহিত করা হয়। ওই যুদ্ধ ১৯৭৩ সালের ৬ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয়েছিল।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.