লাশের কোমড়ে বাঁধা ছিল ৭ কোটি টাকার সোনা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার করা এক যুবকের লাশ থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকার সোনা পাওয়া গেছে। এ সোনা তার দেহে কৌশলে লুকানো ছিল। বাঁধা ছিল কোমড়ের কাছে। লাশটি মিরাজ আলি (২২) নামের এক যুবকের। সে দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে।

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র অনুসারে, রোববার (৮ অক্টোবর) বেলা ৪টার দিকে মাথাভাঙ্গা নদীর স্থানীয় ঘাট মোড়ে লাশটি ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা লাশ উদ্ধার করেন। পরে লাশের কোমর থেকে ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম (৮৭৯ দশমিক ৮৮ ভরি) ছোট–বড় ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বিজিবি।

উদ্ধারকৃত সোনার বারগুলো কী মানের অর্থাৎ কত ক্যারেটের তা জানা যায়নি। যদি সেগুলো ২২ ক্যারেটের হয়, তাহলে বর্তমান বাজার দর অনুসারে ওই সোনার মূল্য দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা। আর এসব সোনা ২০ ক্যারেটের হলে দাম হবে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মতো।

রাতে বিজিবির চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আজ বারাদী সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান হবে এমন সংবাদ পায় বিজিবি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বারাদী বিওপির টহলদল সীমান্ত এলাকায় টহল তৎপরতা জোরদার করে। বেলা ৪টার দিকে টহলদল বিশেষ সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, দুজন স্বর্ণ চোরাকারবারি স্বর্ণসহ সীমান্ত পিলার ৮০ /১–আর–এর কাছ দিয়ে মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে ভারতে যাওয়ার সময় একজন পানিতে ডুবে মারা যান। অপরজন পালিয়ে গেছেন।

পরে বারাদী বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. জাকির হোসেন টহল দল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ডুবে যাওয়া চোরাকারবারির লাশ অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে তাঁর শরীরে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৫৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। বারগুলোর মোট ওজন ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম।

মোহাম্মদ জাহিদুর বলেন, ‘এ ঘটনায় নায়েব সুবেদার মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি মামলা করেছেন। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। আর লাশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.