সেপ্টেম্বরে এলসির অর্থ পরিশোধ ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে আগের মাসের তুলনায় ৯১ কোটি ডলারের এলসি খোলা কমেছে। এ মাসে এলসির অর্থ পরিশোধ ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সেপ্টেম্বর মাসে ৪৬৮ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়। আগের বছর সেপ্টেম্বরে এলসি খোলা হয়েছিল ৬০৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে এলসি খোলা কমেছে ১৩৭ কোটি ডলার। এ মাসে ৪৩৭ কোটি ডলারের এলসি সেটেলমেন্ট করা হয়। এর আগের মাসে যার পরিমাণ ছিলো ৫৫৯ কোটি ডলার।

যুদ্ধের প্রভাবে যে ডলার সংকট দেখা দেয় তা এখনো কাটেনি। এতে আমদানি-রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় ডলার সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকগুলো। অপ্রয়োজনীয় আমদানির ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এতে আমদানি পরিমাণ কমে আসছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়িতে আমদানি কমছে। একইসঙ্গে রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। অপরদিকে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সেও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বড় আঘাত এসেছে প্রবাসী আয় থেকে। গত এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম ডলার এসেছে সেপ্টেম্বর মাসে। এ মাসে মাত্র ১৩৪ কোটি ডলারের কিছু বেশি রেমিট্যান্স আসে। যা এর আগের মাসের তুলনায় ২৫ কোটি ডলার কম। আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৯ কোটি ডলারেরও বেশি। এছাড়া এক বছরের ব্যবধানে ১৮ কোটি ডলার কমেছে সেপ্টেম্বরের রেমিট্যান্স।

রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিলাসপণ্য আমদানিতে সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ মার্জিন আরোপ করা হয়। বিদেশি ফল আমদানিতেও ৭৫ শতাংশ মার্জিন আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া যেকোনো আমদানিতে এলসি যদি ৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি হয় তবে তার জন্য আগে থেকে অনুমতি নেওয়ার বিধান করা হয়। এর কিছুদিন পরে সে অংক ৫ থেকে কমে ৩ মিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এখনো ৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি এলসি খুলতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হয়।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.