এসএমইতে চাহিদার তুলনায় কম অর্থ দিচ্ছে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান

দেশের অনেক ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগে (এসএমই) অর্থায়ন করে। তবে এখনো চাহিদার তুলনায় খাতটিতে অনেক কম অর্থের যোগান দেওয়া হয়। অনেক সম্ভাবনা থাকার পরেও বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা পর্যাপ্ত অর্থ পাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার।

শনিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. ফয়জুল ইসলাম। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের নির্বাহী পরিচালক ডা. সেলিম রায়হান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

সামির সাত্তার বলেন, ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এসএমইকে অর্থায়ন করে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ব্যাংক এটিকে জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করে এসএমই ঋণগ্রহীতাদের জন্য কাজ করছে। এরপরও চাহিদার তুলনায় খাতাটিতে অনেক কম অর্থায়ন করা হয়। এছাড়া সীমিত সম্পদ ও সরবরাহ চেইন পদ্ধতিসহ অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় এই খাতের উদ্যোক্তাদের। খাতটিতে অনেক সম্ভাবনা থাকার পরেও বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগ (এসএমই) বাংলাদেশের শিল্পে কর্মসংস্থান এবং মূল্য সংযোজনে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে। এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করছে। এসএমই দেশের জিডিপিতে ২৮ শতাংশ অবদান রাখে। এছাড়া খাতটি বেসরকারি খাতে ৯০ শতাংশ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে। এসএমই খাত দারিদ্র্য কমিয়ে জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য দেশের জিডিপিতে এসএমই খাত আমাদের চেয়ে অনেক বেশি অবদান রাখে। ইন্দোনেশিয়ায় জিডিপির ৬১ শতাংশ, চীনে ৬০ শতাংশ, জাপানে ৫৫ শতাংশ, জার্মানিতে ৫৮ শতাংশ এবং ভিয়েতনামে ৪৫ শতাংশ এসএমই খাতের অবদান রাখে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য জিডিপিতে এসএমইর অবদান বাড়ানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।

এদিন সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার এইচ.ই ড. লিলি নিকোলস, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ আলদুহাইলান এবং ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.