রিজার্ভ সম্পর্কে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বিশেষ করে এর নিম্নমুখী ধারা নিয়ে যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে তাতে বিরক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দাবি, দেশের মানুষের জন্য ভালো–মন্দ কাজ করতে গিয়ে রিজার্ভ কমছে। রিজার্ভ বেশি রাখা প্রয়োজন, না দেশের মানুষের কমফোর্ট-সমালোচকদের জন্য সেই প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজার্ভ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রিজার্ভ নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। যদি এত বেশি কথা হয়…যখন সরকার গঠন করেছিলাম, তখন যত ছিল, ওইখানে এনে রেখে আবার ইলেকশন করব। করে আবার বাড়াব। কিন্তু ওইখানে নিয়ে এসে দেখাব, এ-ই ছিল!

বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি সরকার গঠনের সময় রিজার্ভ কত ছিল, ওই পরিসংখ্যানও উল্লেখ করেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ওই সময় দেশের রিজার্ভ ছিল শুন্য দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।

সংবাদ সম্মেলনে রিজার্ভ কমে যাওয়ার বিষয়ে যুক্তি দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সময় আমাদের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। যোগাযোগ বন্ধ ছিল। যাতায়াত বন্ধ ছিল। সবকিছু বন্ধ ছিল। যার জন্য রিজার্ভ বেড়েছিল। এরপর অর্থনীতি খুলে গেল। সমস্ত জিনিস আমদানি শুরু হলো। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের রিজার্ভ কমবে, এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।’

সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তার আগে তো অনেক আঁতেল ক্ষমতায় ছিল। জ্ঞানীগুণীরা ছিল। রিজার্ভ কত ছিল? রিজার্ভ কত ছিল তখন? এক বিলিয়নও ছিল না! জিরো পয়েন্ট সেভেন সেভেন মিলিয়ন ছিল। আমি যখন ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করি, রিজার্ভ কত ছিল। বোধ হয় আড়াই মিলিয়ন, নট বিলিয়ন, ইভেন বিলিয়নের ধারেকাছেও নাই। যেটুকু বেড়েছে, আমাদের সরকারের সময় করেছি।’

‘এখন দেশের মানুষকে অন্ধকারে রেখে…যদি বলেন রিজার্ভ বাড়াতে হবে, তাহলে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিই। পানি দেওয়া বন্ধ করে দিই। স্যার বন্ধ করে দিই। সব বন্ধ করে বসিয়ে রাখলে রিজার্ভ ভালো থাকবে। রিজার্ভটা বেশি রাখা প্রয়োজন, না আমাদের দেশের মানুষের কমফোর্ট, দেশের মানুষের জন্য ভালো–মন্দ কাজ করা, কোনটা প্রয়োজন?’ এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.