কিছু টাউট শেয়ারবাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থিতিশীলতা থাকলেও পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা নেই। এর মধ্যে আবার কিছু ফড়িয়া ও টাউট  এই বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে। ব্যাংকিং খাত ও পুঁজিবাজারে বেশ কিছু ফড়িয়া ও টাউট রয়েছে। যদি এদেরকে বিতারিত করা যায়, তাহলে তা এই বাজারের সমৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকারস অ্যাসোসিয়েশন।

হাছান মাহমুদ বলেন, মাঝেমধ্যে আদালতে টাউট বিতারণের জন্য আইনজীবী সমিতি কাজ করে। মাঝেমধ্যে ভুয়া ডাক্তারও ধরা হয়। মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেটে টাউট ও ফড়িয়া রয়েছে। এরা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে। স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করছে। এসব বিষয়ে একযোগে কাজ করা প্রয়োজন। তাহলে আমাদের পক্ষে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশের অর্থনীতি বহুমাত্রিক হয়ে উঠেছে।

অর্থনীতিকে সচল রাখতে মুদ্রাবাজার ও পুঁজিবাজারের ভূমিকা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানি মার্কেটে অনেক প্রবৃদ্ধি হয়েছে… পুঁজিবাজারেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে এখনও কিছু দুর্বলতা আছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেটের বিরাট অবদান রয়েছে। অর্থনীতি সচল রাখতে হলে এর ভূমিকা অগ্রগণ্য এবং এই দুইটি যদি একসঙ্গে কাজ করে তাহলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অত্যন্ত সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। আমাদের দেশে মানি মার্কেটের অনেক গ্রোথ হয়েছে। এটা কখনোই হতো না যদি না বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ভালো না হতো।

সরকারের অতীত ও বর্তমানের বিভিন্ন অর্থনৈতিক উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের অর্থনীতির আকার গত ১৫ বছরে প্রায় ৫ গুণ বেড়েছে। অপরদিকে বাজেটের আকার বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ। আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি তখন বাজেটের আকার ছিল ৮৮ হাজার কোটি টাকা, বাস্তবায়িত হয় ৮১ হাজার কোটি টাকার বাজেট। এখন তা ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৬৭৫ কোটি সামথিং। বাংলাদেশে যেখানে বাজেটের আকার বেড়েছে সেখানে বোঝা যায় সমৃদ্ধি এসেছে। ২০০৬ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৫০৭ ডলার, ২০০৭ সালে ছিল ৬০০ ডলার। এখন তা ২ হাজার ৮৫৯ ডলার। যদি ডলারের ডিভ্যালুয়েশন না হতো তাহলে এটা তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতো।

মন্ত্রী বলেন, আজ দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, সব মানুষের যে ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে- তা আমরা যারা এই উন্নয়নের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি তারা অনুভব করতে পারি না। আজ থেকে ১৫ বছর আগে যে মানুষটি বিদেশে গেছেন তিনি এখন দেশে এসে আর এই দেশকে চিনতে পারেন না। যখন গ্রামে যান তখন তার গ্রামকে চিনতে পারেন না। গ্রামে আগের কুঁড়েঘরগুলো আর নাই, হারিয়ে গেছে। সবগুলোই টিনের চালা, আধা পাকা ও পাকা বাড়িতে রূপান্তরিত হয়েছে। গ্রামের যে মেঠোপথ সেখানে পিচ ঢালা পথ তৈরি হয়েছে। তখন তিনি বুঝতে পারেন দেশটা কোথায় গেছে।

তিনি আরও বলেন, আজ দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, সব মানুষের যে ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে তা আমরা যারা এই উন্নয়নের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি তারা অনুভব করতে পারি না। আজ থেকে ১৫ বছর আগে যে মানুষ বিদেশে গেছেন তিনি এখন দেশে এসে আর এই দেশকে চিনতে পারেন না।

অর্থসূচক/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.