আড়াই শতাংশ লভ্যাংশে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৭ শতাংশ

দেশের পুঁজিবাজারে অসুস্থ আচরণের আরও এক নজির তৈরি হয়েছে দেশবন্ধু পলিমারের শেয়ার লেনদেনে। প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটির নামমাত্র লভ্যাংশ ঘোষণার পর শেয়ারের দামে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে। শুধু শেয়ারের দর বৃদ্ধি নয়, লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে অনেক। আর পুরো বিষয়টিকেই অস্বাভাবিক মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

গত সোমবার (২ অক্টোবর) দেশবন্ধু পলিমার সর্বশেষ হিসাববছরের (২০২২-২৩) জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদেরকে ২.৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার কথা জানায় কোম্পানিটি।

লভ্যাংশ ঘোষণার পরদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দেশবন্ধু পলিমারের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক উল্লম্ফন ঘটে। এদিন শেয়ারটির দাম ২২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে ২৭ টাকা ১০ পয়সায় উন্নীত হয়। একদিনে শেয়ারটির দাম বাড়ে ৪ টাকা ২০ পয়সা বা ১৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

বুধবার (৪ অক্টোবর) টানা দ্বিতীয় দিন বৃদ্ধি পায় দেশবন্ধু পলিমারের শেয়ারের দাম। দিনশেষে শেয়ারটির মূল্য দাঁড়ায় ২৯ টাকা ১০ পয়সা। এদিন শেয়ারটির মূল্য বৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

দুই দিনে ডিএসইতে দেশবন্ধু পলিমারের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ টাকা ২০ পয়সা বা প্রায় ২৭ শতাংশ।

সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস ছিল ৫৯ পয়সা।

সর্বশেষ দর অনুসারে শেয়ারটির মূল্য আয়-অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৩২।

অন্যদিকে ঘোষিত লভ্যাংশের বিপরীতে লভ্যাংশ প্রাপ্তির হার (Dividend yield) দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ০২ শতাংশ।

গত ৬ বছরের মধ্যে এবার দেশবন্ধু পলিমারের ঘোষিত লভ্যাংশের হার সবচেয়ে কম। আগের ৫ বছর কোম্পানিটি ৫ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে। এ হিসেবে আগের বছরের তুলনায় কমে হয়েছে অর্ধেক।

তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির মুনাফা ও শেয়ার প্রতি আয় কিছুটা বেড়েছে। ডিএসইতে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ২০২১-২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৪৭ পয়সা, তার আগের বছর যা ২০ পয়সা ছিল। তার আগের বছর (২০১৯-২০) ইপিএস ছিল ১০ পয়সা, যা আগের বছর ৪৭ পয়সা ছিল।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.