স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে দরকার স্মার্ট জার্নালিজম: স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে স্মার্ট জার্নালিজম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। গণমাধ্যম দায়িত্বশীলতার সাথে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে রাষ্ট্র ব্যবস্থা, সমাজ ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বুধবার (০৪ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত দ্যা ডেইলি পিপলস লাইফ পত্রিকার (The Daily People’s Life) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিরীন শারমিন চৌধুরী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে বাংলা পত্রিকার সংখ্যা অগণিত। কিন্তু ইংরেজি গণমাধ্যম খুব কম। কম থাকলেও এর চাহিদ রয়েছে। বাংলাদেশ এখন অদম্য ভাবে এগিয়ে চলেছে। সারাবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিচালনা করা হচ্ছে। এসময় বিশ্বের সামনে আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ব্যবস্থা এবং সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য ইংরেজি গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ।

এ সময় দ্যা ডেইলি পিপলস লাইফ পত্রিকার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ, এমপি।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এমন সময়ে অবস্থান করছে যখন গণমাধ্যম রাষ্ট্রের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। দেশের গণমাধ্যম এখন স্বাধীন পরিবেশে কাজ করছে। স্বাধীনভাবে সংবাদ তুলে ধরছে। গণতান্ত্রকে তুলে ধরছে।

পিপলস লাইফ পত্রিকা সম্পর্কে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ডেইলি পিপলস লাইফের নামটি আমার ব্যক্তিগত ভাবে খুব ভালো লেগেছে। পিপলস লাইফ মানুষের কথা তুলে ধরবে। আমাদের দেশে সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। পিপলস লাইফ সেই জনগনের কথাই তুলে ধরবে। আমি আশাকরি অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরার মাধ্যমে দায়িত্বশীলতার সাথে এই পত্রিকার সাথে যুক্ত সবাই তাদের দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি বলেন, আমি আশা করি পিপলস লাইফ নারীদের খবর ভালোভাবে তুলে ধরবে, নারীদের জন্য আলাদা কলামের ব্যবস্থা রাখবে, সংসদের খবর গুলো ভালো ভাবে প্রকাশ করবে।

এসময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন, সরকারের গত ১৫ বছরের পথচলায় বাংলাদেশে গণমাধ্যমের উল্লেখযোগ্য বিকাশ ঘটেছে, অনলাইন পোর্টাল যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। মুক্ত গণমাধ্যম কিভাবে কাজ করে তার বড় উদাহরণ বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকারে আসি তখন খবরের কাগজ ছিলো ৪০০ টি এখন পত্রিকার সংখ্যা ১২৬০ টি। স্যাটেলাইট ভিত্তিক চ্যানেল ছিলো ১০ টি যা এখন ৩৫ টি। আরও বেশ কয়েকটি আসবে। অনলাইন পোর্টালের সংখ্যা অগণিত। এখন পর্যন্ত ৫ হাজার দরখাস্ত জমা হয়েছে নিবন্ধনের জন্য৷ সরকারের গণমাধ্যম বান্ধব মনোভাবের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।

দ্যা ডেইলি পিপলস লাইফ পত্রিকার এডিটোরিয়াল বোর্ড এবং ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাসান রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করা। দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে সত্য খবর প্রচার করা।

দ্যা ডেইলি’র পিপলস লাইফ পত্রিকার সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম ভুইঁয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর এএসএম মাকসুদ কামাল, ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, শামসুল মমিন চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও কবি জাফর ওয়াজেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিজি এস এম গোলাম কিবরিয়া, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার শাহিনুর মিয়া, সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়েস, ড. জুবায়ের আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আব্দুল আওয়াল শামীম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, আইডিআরএ চেয়ারম্যান জয়নুল বারী’সহ আরও অনেকে।

অর্থসূচক/এমআর/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.