বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘ভারতে যখন নির্বাচন হয় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা তখন কি সেখানে যায়? ভারতের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয়, সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যায়? যায় না।’
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধুমাত্র আমাদের দেশেই নির্বাচন আসলে কে পর্যবেক্ষণ করলো, কে করলো না- এগুলো নিয়ে নানা মাতামাতি হয়। যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেন, তাহলে তাদের স্বাগত জানাই। না আসলেও কোনো অসুবিধা নেই। কেউ পর্যবেক্ষণ করলো কী করলো না- এতে কিছুই আসে যায় না। এরই মধ্যে আমাদের দেশে স্থানীয় সরকারসহ যেসব নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আগামী নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে ইনশাল্লাহ।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলে বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউয়ের পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক- আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবেন। সুতরাং আমাদের নির্বাচন আমরাই করবো, নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে একশ দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ করে শতশত মানুষ পুড়িয়েছিল, হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছিল। দেশে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা বিএনপি আর করতে পারবে না, দেশের মানুষ করতে দেবে না। ওই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করলে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।’
অর্থসূচক/এমএস