ডলার প্রশ্নে হঠাৎ ক্ষিপ্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র

বেশ কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে ডলারের দাম বেঁধে দিচ্ছে অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। এরপরেও কোন কোন ব্যাংক ডলারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দাম রাখছে। এবার ডলারের দামের জগাখিচুড়ি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

ইতিমধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক পরিস্থিতির কোন কূল-কিনারা না পেয়ে দেশের অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিক ও ব্যাংকারদের দ্বারস্থ হয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এলক্ষ্যে আজই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মেজবাউল হক।

অনেক ব্যাংক বাফেদার নির্ধারিত দামে ডলার দিতে পারছে না। এজন্য মানুষ বাধ্য হয়ে খোলা বাজারে যাচ্ছে। সেখানে প্রতি ডলার ১১৮ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ডলারের এই অব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে ক্ষিপ্ত হন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

এসময় তিনি এক সাংবাদিককে প্রশ্ন করতে বাধা দেন। কারও কোন কথা না শুনে তিনি এক নাগাড়ে উচ্চ স্বরে কথা বলতে থাকেন। ঐ সাংবাদিক তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও থামছিলেন না তিনি।

মেজবাউল হক বলেন, যারা টাকা পাঁচার করে তারাই খোলা বাজারে যাবে। সেখানে ১১৮ টাকা দামের ডলার ১৩০ টাকা দিয়ে কিনবে। অন্য কেউ কেন খোলাবাজারে যাবে। ব্যাংকে গেলেই ক্রেডিট কার্ডে ডলারের ইন্ডোর্সমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে।

তখন উপস্থিত সাংবাদিকেরা বলেন, বাফেদার নির্ধারিত দামে ব্যাংকগুলো ডলার দিতে পারছে না। অনেক ব্যাংকারদের অভিযোগ, বাংলাদেশ ব্যাংক জোর করে এই দাম তাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। এজন্য বাধ্য হয়ে মানুষ খোলাবাজারে ডলার কিনতে যাচ্ছেন।

এরপরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, বাফেদা একা কখনো ডলারের দাম ঠিক করে না। তাদের সব সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ডলারের দাম ঠিক করেন। তারা ডলারের দাম ঠিক করলে সেটিকে আমরা সাপোর্ট দেই।

রপ্তানি করে পাওয়া ডলার যে ব্যাংকে থাকে সেই ব্যাংকে ব্যবসায়ীদের আমদানি এলসি খুলতে হয়। এতে অনেক ব্যবসায়ীর অসুবিধা তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এক সাংবাদিকের এমন মন্তব্যেও তিনি রেগে যান।

তিনি ঐ সাংবাদিককে বলেন, আপনাকে একটা কথা বলি শোনেন- কাগজে কলমে রপ্তানিকারকেরা ১০৯ টাকা করে ব্যাংকে ডলার বিক্রি করেন। তবে হাতে করে ১২০ টাকা করে নিয়ে যায়। আপনাকে নিউজের এই সূত্র দিয়ে দিলাম। কালকেই এটি খুঁজে নিউজ করবেন।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.