আমরা জানি বাংলাদেশ ঘরের মাঠে কতটা শক্তিশালী: ফার্গুসন

ওয়ানডে সংস্করণে ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্যই হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। তবে চান্ডিকা হাথুরুসিংহের দ্বিতীয় বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর খানিকটা অচেনা হয়ে উঠেছে টাইগাররা। ইংল্যান্ডের পর ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ হেরেছে সাকিব-তামিম ইকবালরা।

সবশেষ এশিয়া কাপেও নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি লিটন দাসরা। তবুও বাংলাদেশকে সমীহ করছেন ফার্গুসন। নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ভালো করে জানেন ঘরের মাঠে বাংলাদেশ কতটা ভয়ঙ্কর দল হয়ে উঠতে পারে। সবশেষ ১০ বছরে ৭১ ম্যাচের ৪৫টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যে কারণে এই সিরিজকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন কিউই অধিনায়ক।

ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে ফার্গুসন বলেন, ‘দেখুন, আমরা সবাই পেশাদার। সামনে যে খেলাটা আসে আমরা সেটাই গুরুত্ব দেই। এটা আমাদের জন্য বড় এবং চ্যালেঞ্জিং সিরিজ। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে বললে বিশ্বকাপের জন্য এটা ভালো বিল্ড আপ। একই সাথে আমরা এই সিরিজে খুব বেশি ফোকাস করছি। আমরা জানি বাংলাদেশ ঘরের মাঠে কতটা শক্তিশালী দল। তাদের বিরুদ্ধে খেলাটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথমবারের মতো আমি এখানে খেলছি, সেই হিসেবে আমারও শেখার আছে। ছেলেরা সবাই আগামীকালের (২১ সেপ্টেম্বর) দিকে তাকিয়ে আছে এবং তৈরি হওয়ার পথে।’

মিরপুরে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন স্পিনাররা। সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজরা না থাকলেও শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেনরা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেন।

তবে কিউই অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই, এটা বাংলাদেশের ঘরের মাঠ। আমি যেটা বলছিলাম তাদের ভালো স্পিন অ্যাটাক আছে। কয়েক বছর আগে এখানে বেশ কয়েকজন খেলেছে, তারা আমাদের তথ্য দিয়েছে। কিন্তু আমাদের ব্যাটাররা প্রস্তুত হচ্ছে। বিশ্ব জুড়ে খেলার কারণে তারা স্পিন ট্র্যাকে খেলে অভ্যস্ত। আমার মনে হয় অনেক কারণেই এটা ভিন্ন এক চ্যালেঞ্জ হবে। একই সাথে ছেলেরা সেটার জন্য প্রস্তুত।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.