সোশ্যাল মিডিয়ার সমালোচনা প্রভাব ফেলছে না: লিটন

ভালো করলে ক্রিকেটারদের নিয়ে মাতামাতির অন্ত নেই সমর্থকদের। আবার প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে না পারলে দুদিন আগে যাদের মাথায় তুলে নেচেছেন তাদেরই গালমন্দ করতে পিছপা হননি তারা। ক্রিকেটারদের সমালোচনায় বিদ্ধ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় তুলে ফেলেন ক্রিকেট অনুরাগীরা।

লিটন দাসের রান নিয়ে একটা সময় বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো ডিসকাউন্ট দিতেন। সেই লিটনকেই আবার পছন্দের শীর্ষে রাখতে দেখা গেছে গত বছর। সেই চিত্র পাল্টে গেছে আবারও। চলতি বছর রান করতে না পারায় প্রায়শই সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে। লিটনের মতো সমালোচনায় হয় অন্যান্য ক্রিকেটারদের নিয়েও।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে লিটন বলেন, ‘এখন এত পরিমাণে খেলা আসলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেখার মতো সময় আমাদের হাতে নেই। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়, কারও কাছেই নেই। যে যার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তারপর বাদ বাকি সময়টা তারা পরিবারকে দেয়। আমার কাছে মনে হয় হয় এই জিনিসটা কোনো খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলার কথা।’

২০২২ সালে বাংলাদেশের হয়ে তিন সংস্করণেই আলো ছড়িয়েছিলেন লিটন। সেই বছর ৪২ ম্যাচে ৪০.০২ গড়ে করেছিলেন ১ হাজার ৯২১ রান। তবে বিশ্বকাপের বছরে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো ঘরোয়া কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টেও ব্যর্থ তিনি। এ বছর ১৫ ওয়ানডে খেলে ২৫.৫৩ গড়ে করেছেন ৩৩২ রান। এদিকে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে ৭ ইনিংসে ১৫২ রান করেছেন ২১.৭১ গড়ে। যেখানে স্ট্রাইক রেট প্রায় ১০০। গল টাইটান্সের হয়ে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগেও রান করতে পারেননি লিটন। সবশেষ এশিয়া কাপেও ছিলেন ব্যর্থ।

সবশেষ ৯ ওয়ানডেতে একটি হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া এই ব্যাটার জানান, ‘দেখুন আমি চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত, অনুশীলনের চেষ্টা করছি কিভাবে খুঁজে বের করা যায়। আশা করি তাড়াতাড়ি কামব্যাক করতে পারব।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.