মামলার তদন্ত শেষ না হতেই জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার আসামি মো. সহিদুল ইসলাম লিপনকে উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতির পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে মামলার পর গত ১৬ জুন বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতির পদ থেকে লিপনকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রুকু ও সদস্য সচিব আরমান হোসেন সাগরের যৌথ স্বাক্ষরে আগামী ৩ বছরের জন্য সহিদুর রহমান লিপনকে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি করে দলীয় প্যাডে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়।
সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, আসামি লিপন তাঁতী লীগের উপজেলা কমিটির সভাপতির পদ ফিরে পেয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আছে লিপন। লিপন মামলার ১১ নম্বর আসামি। আমরা চাই, সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে তাঁতী লীগ থেকে লিপনকে বহিষ্কার করা হোক।
সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি মামলার তদন্ত শেষ না হতে দলীয় পদ-পদবি ফিরে পাওয়ায় মামলায় ব্যাঘাত এবং ন্যায়বিচারে সমস্যা হতে পারে। এই মুহূর্তে তার পদ-পদবি ফিরে পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে ১০-১২ জন সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলা করে। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম ২২ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোলাম রব্বানী নাদিম বাংলানিউজের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
অর্থসূচক/এমএস