‘ভারতের হারে শান্তি পাচ্ছেন পাকিস্তানিরা’

রাজনৈতিক বৈরিতায় দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হচ্ছে না এক দশক পেরিয়েছে। বর্তমানে তাদের লড়াই দেখতে সমর্থকদের ভরসা করতে হয় আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টে। এবারের এশিয়া কাপে দুবার দেখা হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের। প্রথম ম্যাচে ভারতকে চেপে ধরলেও বৃষ্টির কারণে ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি বাবর আজমরা। ফলে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়।

সুপার ফোরে আরও একবার লড়াইয়ে নামে এই দুই দল। যেখানে ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরির পর জসপ্রিত বুমরাহ-কুলদীপ যাদবদের দারুণ বোলিংয়ে বড় ব্যবধানে হারে বাবরের দল। ফাইনালে যেতে শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাতেই হতো পাকিস্তানকে।

নাসিম শাহ ও হারিস রউফকে ছাড়া খেলতে নেমে লঙ্কা বাঁধা টপকাতে পারেনি তারা। ফলে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠা হয়নি পাকিস্তানের। বাবরদের এমন হারে হাসি ঠাট্টা করেন ভারতীয় সমর্থকরা। এদিকে লঙ্কানদের হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করা ভারতের জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল আনুষ্ঠানিকতার। এমন ম্যাচে টাইগারদের কাছে ৬ রানে হেরেছে তারা। ভারতের এমন হারে পাকিস্তানিরা খুশি বলে জানান শোয়েব।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব আখতার বলেন, ‘ভারত কাদের কাছে ম্যাচ হেরেছে? বাংলাদেশের কাছে, যাদের ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বলা না গেলেও প্রতিদ্বন্দ্বী বলায় যায়। লজ্জাজনক হার। লোকজন পাকিস্তানের সমালোচনা করছে। বলছে, পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে মার খেয়েছে। শ্রীলঙ্কা কিন্তু ভালো দল। বাংলাদেশও খারাপ দল নয়, ওরাও ভালো দল। তারাও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে। বিশ্বমঞ্চে বড় বড় দেশকে চ্যালেঞ্জ জানায়। ওরা ভারতকে দারুণভাবে হারিয়েছে। এতে কিছুটা শান্তি হয়তো আমার মতো অন্য পাকিস্তানিরাও পাচ্ছে। ভারত অন্তত বাংলাদেশের কাছে তো হারল। ভারতের জন্য এটা একটা সতর্কবার্তা। পাকিস্তানকে হারিয়েই নিজেদের সেরা ভাবার সুযোগ নেই। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচটাও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল।’

উপমহাদেশে খেলা হওয়ায় ভারত ও পাকিস্তান এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট। তাদের সঙ্গে সোনালি ট্রফি জিততে বেশ এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। বেশিরভাগ সাবেক ক্রিকেটারই এমন ভবিষ্যদ্বাণী করছেন। তবে পাকিস্তানের সাবেক এই তারকা পেসার বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানকে নিয়ে আমরা বলছি, এ দুই দল ফেবারিট। আর আছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। এই চার দলের মধ্যে দুই দল ফাইনাল খেলবে। এর বাইরে আর কিছু হবে না। ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। ভবিষ্যদ্বাণী আপনারা নিজেদের কাছেই রাখুন। ভারত এত বড় দল, কিন্তু বাংলাদেশের কাছে হারল। তারা কিন্তু ভালো খেলেছে, অথচ শুভমানের সেঞ্চুরিও কাজে এল না। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতে হয়। তারা জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্বকাপে আমরাও আছি।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.