ব্যাটিং ব্যর্থতা যেনো পিছু ছাড়ছে না নিউজিল্যান্ডের। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে লিবিংস্টোনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৩৪ ওভারে ২২৬ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৪৭ রানেই গুটিয়ে যায় সফকারীরা। ফলে ৭৯ রানের জয়ে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেলো স্বাগতিকরা।
সিরিজে সমতায় ফিরতে সাউদাম্পটনে টস জিতে ফিলল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় কিউইরা। ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকদের টপ অর্ডার। লম্বা সময় পর দলে ফিরেই নিজের দ্বিতীয় ওভারে জনি বেয়ারস্টোকে ল্যান্থ ডেলিভারিতে ক্যাচের ফাঁদে ফেলে মাত্র ৬ রানেই সাজঘরে ফেরান বোল্ট। এরপর জো রুট (২), বেন স্টোকস (১) এবং হ্যারি ব্রুকের (২) ফিরলে পাওয়ারপ্লের প্রথম ৫ ওভারেই ২৮ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
মঈন আলিকে নিয়ে অধিনায়ক জোস বাটলারের বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। যদিও দলীয় ৫৫ রানেই ৩০ করে সাজঘরে ফেরেন বাটলার। এরপর মঈনকে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়েন লিয়াম লিভিংস্টোন। যদিও মঈন ফেরেন ৩৩ রান করেই। তবে দলের হাল ধরেন লিভিংস্টোন মিডল অর্ডার ব্যাটার স্যাম ক্যারান নিয়ে গড়েন ১১২ রানের জুটি। এ সময় ৯ চার ও এক ছয়ে ৭৮ বলে ৯৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। সেই রানেই ভর করে ৩৪ ওভারে ২২৬ রানের সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। বল হাতে বোল্ট ছিলেন সবথেকে সফল বোলার নিয়েছেন ৩ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমেই রানের খাতা খোলার আগেই ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ডেবিড উইলির ল্যান্থ ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরেন ফিন অ্যালেন। এরপর উইল ইয়াংকে নিয়ে ডেভন কনওয়েকে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। কনওয়ে ১৪ রানে ফেরার দুই ওভার পরেই ৩৩ রানে ফেরেন ইয়াং।
ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দিতে কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম ও ড্যারিল মিচেল ম্যাচে হার ধরার চেষ্টা করেন। দুই ব্যাটার মিলে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। যদিও ল্যাথাম ১৯ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। দলীয় ১৩৯ রানে হাফ সেঞ্চুরি করা মিচেল (৫৭) ফিরলে এরপর দলের হাল কেউ ধরতে পারেনি। ফলে ৭৯ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাটলাররা। ইংলিশদের হয়ে বল হাতে তিনটি করে উইকেট নেন উইলি ও রিস টপলে। দুই উইকেট পেয়ছেন মঈন এবং একটি উইকেট নিয়েছেন গাস অ্যাটকিনসন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.