লঙ্কার শিবিরে শরিফুলের জোড়া আঘাত

এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে টিকে থাকতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। এদিন হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হবে টাইগারদের। এমন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সাকিব আল হাসান।

এদিন একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। যেখানে আফিফ হোসেন ধ্রুবর পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। তবে এখনও সুযোগ মেলেনি এনামুল হক বিজয়ের।

টানা বৃষ্টি হওয়ায় কলম্বোর উইকেট থেকে খানিকটা মুভমেন্ট পাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ-শরিফুল ইসলামরা। তবে উইকেট এনে দিতে পারেননি তাদের দুজনের কেউই। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে এসে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। লেংথে পড়ে হাসান মাহমুদের বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে আউটসাইড এজ হয়ে উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১৮ রান করা দিমুথ করুনারত্নে।

এরপর লম্বা সময় উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় বেশ কয়েকবার সুযোগ হাতছাড়া করেছে টাইগাররা। ব্যক্তিগত ৩৬ রানে হাসান মাহমুদের বলে পাথুম নিশাঙ্কার ক্যাচ ফেলেছেন মুশফিকুর রহিম। এরপর শরিফুলের বলে মিড অফে কুশাল মেন্ডিসের ক্যাচ নিতে পারেননি শামীম পাটোয়ারি। অবশ্য এর খানিক বাদেই নিশাঙ্কা ও মেন্ডিস মিলে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ একশো পার করেন। এরপর শরিফুলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন নিশাঙ্কা। এই লঙ্কান ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে ৫০ বলে ৩০ রান। এর ফলে মেন্ডিসের সঙ্গে তার দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙে ৭৪ রানে।

৭২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন মেন্ডিস। এরপরই ধৈর্য্য হারিয়েছেন লঙ্কান এই ব্যাটার। শরিফুলের করা বাউন্স বলে আপার কাট করেছিলেন মেন্ডিস। তবে ব্যাটে বলে করতে না পারলে বল চলে যায় সোজা থার্ড ম্যান অঞ্চলে থাকা তাসকিন আহমেদের হাতে। তিনি জায়গায় দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন।

 

 

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.