৩৫০ সিসি মোটরসাইকেলের যুগে বাংলাদেশ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ৩৫০ সিসি ক্ষমতার মোটরসাইকেলের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। সরকার দেশের বাজারে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল বিক্রি করার অনুমতি দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩৫০ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেল বিক্রি ও ব্যবহারের এ অনুমোদন দিয়েছে।

ইফাদ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান তাসকিন আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এতদিন দেশের বাজারে ১৬৫ সিসি’র বেশি ইঞ্জিন সক্ষমতার মোটরসাইকেল বিক্রির অনুমতি ছিল না। তবে রপ্তানির উদ্দেশ্যে দেশীয় কারখানায় ৫০০ সিসি পর্যন্ত ক্ষমতার মোটরসাইকেল উৎপাদনের অনুমতি ছিল।

রানার অটোমোবাইলস, ইফাট অটোস, র‌্যানকন মোটরবাইকস লিমিটেডসহ বিভিন্ন কোম্পানি দেশে ৫০০ সিসি বা তার বেশি মোটরসাইকেল উৎপাদনে বিনিয়োগ করেছে।

শিল্প মন্ত্রণালয় ২০২১ সালে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিনক্ষমতার মোটরসাইকেল উৎপাদনের প্রাথমিক অনুমোদন দেয়। তবে, নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে স্থানীয় বাজারে বিক্রির অনুমতি দেয়নি পুলিশ।

স্থানীয় উদ্যোক্তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাজারে ১৬৫ সিসি’র বেশি ক্ষমতার মোটরসাইকেল বিক্রি ও ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাদের দাবি, শুধু রপ্তানি বাজারের উপর নির্ভর করে বিশাল বিনিয়োগকে লাভজনক করে তোলা সম্ভব নয়। তাছাড়া কোনরকম রোড ট্রায়াল ছাড়া রপ্তানি করার পর ওই দেশের ব্যবহারকারীদের কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে।ল্যাবে শতবার টেস্ট করার পরও বিভিন্ন যানবাহনে কিছু ত্রুটি থাকতে পারে। মাঠ পর্যায়ে ব্যবহারে সেসব ত্রুটি চিহ্নিত করে মানের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। রপ্তানির পর ত্রুটি দেখা দিলে সেটি পণ্য ও দেশের ভারমূর্তি নষ্ট করে। এছাড়া বেশিক্ষমতা সম্পন্ন মোটরসাইকেল অধিক নিরাপদ। দেশে এমন মোটরসাইকেলের ব্যবহার বাড়লে দূর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে।

সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো, বিশেষ করে ইফাদ গ্রুপ ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল বিক্রির অনুমতি র জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে নিবিড় যোগাযোগ করে আসছিল। তাদের চেষ্টায় অবশেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার বিষয়টি অনুমোদন করে।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.