নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতে নথি দেখে দুদকের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ চেয়ে অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছে।
সাক্ষীরা নথি দেখে সাক্ষ্য দিচ্ছেন এমন অভিযোগ এনে আজ সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে এ আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. শওকত আলী চৌধুরীর বেঞ্চে এ আবেদন করা হয়।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ চুক্তি’র মাধ্যমে রাষ্ট্রের ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
এরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এ কে এম মোশাররফ হোসেন ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গত বছরের ১৬ মার্চ মারা গেছেন।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতা অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
আসামিদের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন বর্তমানে কারাগারে আছেন। বাকি ৬ জন বর্তমানে জামিনে আছেন। আরেক আসামি কাশেম শরীফ বর্তমানে পলাতক।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.