বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বাইডেনের কড়া বার্তা

বর্ণবাদ আমেরিকায় নতুন সমস্যা নয়। কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের দাবি এবং অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। তার দীর্ঘ এবং তীব্র লড়াই আমেরিকার ইতিহাস বদলে দিয়েছিল। সে সময় তার বিখ্যাত বক্তৃতা দিয়েছিলেন কিং- আই হ্যাভ আ ড্রিম। সেই ঐতিহাসিক বক্তৃতার ৬০ বছর উদযাপন হয়েছে সোমবার। বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস দুইজনই উপস্থিত ছিলেন সেখানে। প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূতও বটে।

সম্প্রতি ফ্লোরিডায় একটি দোকানে কৃষ্ণাঙ্গদের দিকে গুলি চালিয়েছে এক ২১ বছরের যুবক। পরে নিজেকেও শেষ করে দিয়েছে সে। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেই এদিন নিজের বক্তৃতা সাজিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বাইডেন বলেছেন, বর্ণবাদ শেষ করার সময় এসেছে। কালো মানুষদের জীবন যাতে এভাবে চলে না যায়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। বর্ণবাদ এবং বিদ্বেষমূলক আক্রমণ বন্ধ করার জন্য সরকার চরমতম ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভেবেছে। যাতে মূল থেকে এই ধরনের অপরাধকে উৎপাটিত করা যায়।

হ্যারিসও এদিন বলেছেন, ‘আমেরিকায় কালো এবং সাদা মানুষের মধ্যে বিশেষ কোনো তফাত নেই। কিন্তু কেউ কেউ তফাত তৈরির চেষ্টা করছে। আমাদের দায়িত্ব তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া। আমেরিকাকে কোনোভাবেই এই বিদ্বেষের মধ্য়ে ঢুকতে দেয়া যাবে না।’

বক্তৃতার পর হোয়াইট হাউসে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে একান্তে বৈঠকও করেন বাইডেন এবং হ্যারিস।

সম্প্রতি ফ্লোরিডায় একটি ২১ বছরের যুবক বন্দুক নিয়ে ডলার জেনারেল স্টোরের ভিতর ঢুকে পড়ে। শুধুমাত্র কৃষ্ণাঙ্গদের দিকেই গুলি চালাতে থাকে সে। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। এরপর নিজেকেও শেষ করে দেয় সে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক এর আগে হেট স্পিচও প্রচার করেছে।

বস্তুত, এর আগেও একাধিক এমন শুটআউটের ঘটনা ঘটেছে। বর্ণবাদ নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে আমেরিকায়। এদিন লুথার কিংয়ের ছেলে বলেছেন, ‘বর্ণবাদের এক নতুন সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে অ্যামেরিকা। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’ সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.