সিরিজ আগেই জেতা শেষ, তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচটি ছিল কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। আফগানিস্তানকে ৫৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সেই ম্যাচটিও জিতে নিলো পাকিস্তান। আর এই জয়ে বাবর আজমের দল সিরিজ শেষ করেছে ৩-০ ব্যবধানে। একইসঙ্গে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তান। এক নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে টপকে গেছে পাকিস্তান। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠল তারা।
এর আগে গত মে মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটিতে প্রথমবারের মতো র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে যায় বাবররা। যদিও দু’দিন পরই তাদের দ্বিতীয় স্থানে নেমে যেতে হয়। এ দিন টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে আট উইকেটে ২৬৮ রান তোলে পাকিস্তান।
ম্যাচের প্রথম ৩০ ওভারে অবশ্য কিছুটা রয়েসয়ে খেলে পাকিস্তান। যার কারণে স্কোরবোর্ডে অনেক বেশি রান তুলতে পারেনি তারা। মাত্র দুই উইকেট হারালেও শুরুর ৩০ ওভারে পাকিস্তান তোলে মাত্র ১০৩ রান। কিন্তু পরের ২০ ওভারে ১৬৫ রান তোলে তারা।
দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাফ সেঞ্চুরিতে এই সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। ফখর জামান ২৭ ও ইমাম উল হক ১৩ রানে ফিরলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১১০ রান তোলে দলটি। ৮৬ বলে ৬০ রান আসে অধিনায়ক বাবরের ব্যাটে। আর রিজওয়ান করেন ৭৯ বলে ৬৭ রান। শেষদিকে আঘা সালমান ৩১ বলে ৩৮ রান তুলে অপরাজিত থাকেন। মোহাম্মদ নাওয়াজ শেষদিকে করেন ২৫ বলে ৩০ রান। আফগানিস্তানের হয়ে এ দিন দুটি করে উইকেট নেন গুলবাদিন নাইব এবং ফরিদ আহমেদ।
রান তাড়ায় ৯৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা আফগানিস্তান শেষ পর্যন্ত ২০৯ রান পর্যন্ত পৌঁছায়। আফগানিস্তান শুরুটা করেছিল আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে। তবে উইকেটের আচরণ তাতে উল্টো বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফাহিম আশরাফ, শাদাব খানদের পেস-স্পিনে জেরবার হয়ে ৬১ রানে চতুর্থ আর ৯৭ রানে সপ্তম উইকেট হারায় তারা। এরপরও যে আফগানিস্তানের রান শেষ পর্যন্ত ২০০ পেরিয়ে গেছে, অবদান তাতে মুজিব উর রেহমানের। শাহিন আফ্রিদির বলে হিট উইকেট হওয়ার আগে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৭ বলে ৬৪ রান করে যান মুজিব। ৫টি করে চার ও ছয় মারা মুজিব এর আগে কখনো ১৮ রানের বেশিই করতে পারেননি।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.