ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা কমাতে পারে আমেরিকা

ইউক্রেনকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দেয়ার ঘটনায় মার্কিন রাজনীতিবিদদের মধ্যে মতভেদ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালে আমেরিকা দেশটিকে সামরিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে জো বাইডেন প্রশাসন।

মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্দার আড়ালে আমেরিকা এবং ইউক্রেন চলমান রুশ-বিরোধী পাল্টা অভিযানের কৌশল নিয়ে ব্যাপক তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হয়েছে। যদিও কিয়েভ এ বিষয়ে কিছুটা সমন্বয় করেছে তবে রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য করার প্রশ্নে এখনো দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক মতভেদ রয়েছে। এর আগে দুই পক্ষ গত শীত মৌসুমের মধ্যেই রাশিয়াকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করার সময়সীমা ঠিক করেছিল। কিন্তু শীত শেষে এখন গ্রীষ্ম পার হয়ে যাওয়ার কাছাকাছি অবস্থায় পৌঁছালেও সেরকম কোন কিছু দৃশ্যমান হয়নি। কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ইউক্রেনকে আমেরিকা এ পর্যন্ত যে সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে তার ভিত্তিতে ওয়াশিংটন মনে করে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা ও সফলতা পাওয়ার ক্ষেত্রে এগুলো যথেষ্ট ছিল। কিন্তু কিয়েভ সে ধরনের সফলতা পায়নি এবং আমেরিকা ২০২৪ সালে আগের মতো একই মাত্রায় ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করবে না।

একজন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, “রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযানের জন্য আমরা অস্ত্রশস্ত্রের পাহাড় গড়েছি। একই কাজ আমরা দ্বিতীয়বার করবো না।”

চলতি মাসের প্রথম দিকে মার্কিন কংগ্রেস ম্যান অ্যান্ডি হারিস বলেছেন, ইউক্রেনকে সরাসরি সামরিক সহযোগিতা কমিয়ে দেয়ার সময় এসেছে। মস্কোর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বিজয়ের সম্ভাবনা নেই।

রিপাবলিকান প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য বিবেক রামস্বামী বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ইউক্রেনকে আরো সহায়তা দেয়ার বিষয়টি তিনি সমর্থন করবেন না।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে। সেই থেকে এ পর্যন্ত আমেরিকা ইউক্রেনকে ৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.