চিনি রপ্তানি বন্ধ করছে ভারত

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক বসানোর পর সাত বছরের মধ্যে এই প্রথমবার ভারত এবার চিনি রপ্তানি বন্ধ করতে চলেছে। আগামী অক্টোবর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এদিকে ভারত চিনি রফতানি বন্ধ করলে বিদেশে চিনির দাম বাড়তে পারে। দেশটির সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে এই খবর দিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের যে সব রাজ্যে আঁখ চাষ হয়, সেখানে উপযুক্ত পরিমাণে বৃষ্টি হয়নি। সেকারণে আঁখের ফলন কম হয়েছে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে অনেক কম ফসল হয়েছে। এই দুই রাজ্য অর্ধেক আঁখের যোগান দেয়। এখানে বৃষ্টি স্বাভাবিকের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম হয়েছে। তাই আগামী দিনে ভারতের বাজারে যাতে কোনোরকম সংকট দেখা না দেয়, সেজন্য এখন থেকেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাই রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।

আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে ভারত ১১ মিলিয়ন টনের বেশি চিনি বিদেশে রপ্তানি করেছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। ভারতীয় বাজারে চিনির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এই সপ্তাহে দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। সরকারকে পরিস্থিতি সামলাতে প্রচুর পরিমাণ চিনি বাজারে ছাড়তে হচ্ছে। এমনিতেই ভারতে খাবার জিনিসের দাম বাড়ছে। টমেটো এখনো একশ টাকা কেজি। আলু, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে শাক-সবজির দামও অনেকটা বেড়েছে।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গত দুই বছর মিলগুলোকে ইচ্ছেমতো চিনি রপ্তানি করতে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অনুকূল নয় বলে সিদ্ধান্ত বদল করতে সরকার বাধ্য হচ্ছে। রপ্তানিতে রাশ না টানলে দেশের বাজারে দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে।

ভারতের পাশাপাশি থাইল্যান্ডও চিনির রপ্তানি কমাতে পারে। তখন সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারী দেশ ব্রাজিলের উপর চাপ বেড়ে যাবে। কিন্তু তারা চাহিদা অনুযায়ী চিনির জোগান দিতে পারবে না। ফলে বিশ্ববাজারে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এনডিটিভি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.