পাহাড়ের মাঝখানে ঝুলতে থাকা কেবল-কার থেকে সকলে উদ্ধার

পাকিস্তানের পাখতুনখোয়ায় মঙ্গলবার আচমকাই খারাপ হয়ে যায় একটি কেবল-কার। পাহাড়ের মাঝখানে ঝুলতে থাকেন ছয়টি শিশু এবং দুইজন মধ্যবয়সি ব্যক্তি। রোপওয়ে বা কেবল-কারে চড়ে স্কুলে যাচ্ছিল ওই ছয় শিশু। মাটি থেকে ৯০০ ফুট উচ্চতায় ঝুলছিল তাদের কেবল-কার।

স্থানীয় মানুষ প্রশাসনকে খবর দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা পৌঁছান। যে অঞ্চলে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেখান থেকে উদ্ধার করা খুবই সমস্যার বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন সেনা কর্তৃপক্ষ। তবু তারা সবরকম চেষ্টা শুরু করেন।

১৫ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালানোর পর অবশেষে সকলকে জীবীত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়। দুইটি শিশুকে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হয়। হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা খুবই কঠিন ছিল। কারণ, ওই পাহাড়ি অঞ্চলে প্রবল হাওয়া ছিল। হেলিকপ্টার এক জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়াতে পারছিল না। হেলিকপ্টার থেকে সেনা জওয়ানরা দড়িতে ঝুলে শিশুদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চালান। শেষপর্যন্ত ওইভাবেই তাদের উদ্ধার করা হয়।

সন্ধ্যার পর আর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যায়নি। তবে ভিন্ন উপায়ে সকলকে শেষপর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

পাকিস্তানের আপৎকালীন সার্ভিসের অফিসার বিলাল ফেইজি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘রেসকিউ অপারেশন সফলভাবে শেষ হয়েছে। শেষপর্যন্ত দুইটি শিশুকে উদ্ধার করা যাচ্ছিল না, অবশেষে তাদেরও উদ্ধার করা গেছে।’

পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার উল হক কাকার টুইট করে জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই এই ঘটনার দিকে চোখ ছিল। সকলকে উদ্ধার করা গেছে এটা দেখে শান্তি লাগছে।

পাহাড়ি ওই অঞ্চলে কেবল-কারে করেই প্রতিদিন স্কুলে যায় বহু শিশু। কেবল-কার তাদের একমাত্র পরিবহন। মঙ্গলবার তাতেই যান্ত্রিক ত্রুটি হয়। মাঝ আকাশে ঝুলে থাকতে হয় ছয়টি শিশু এবং দুই ব্যক্তিকে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.